প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব নারকেল দিবস। এই দিনটা পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল নারকেলের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এর উপকারিতা বোঝানো।
নারকেল হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ভার্সেটাইল ফল, এর একাধিক উপকারিতা আছে। এটা যেমন খাওয়া যায়, তেমনই আবার এর তেল রান্না থেকে ত্বক পরিচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে।
নারকেল হচ্ছে মূলত আঁটিযুক্ত রসাল এবং শাঁসালো ফল। এটা মূলত গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলোতে পাওয়া যায়। এশিয়ান-প্যাসিফিক অঞ্চলে এই ফল সব থেকে বেশি পাওয়া যায় এবং একাধিক কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
এই দিনটির ইতিহাস কী?
এশিয়ান-প্যাসিফিক অঞ্চলে মূলত এই দিনটি পালিত হয়। এশিয়ান-প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি বা এপিসিসি দ্বারা এই দিনটিকে পালন করা হয়। এই সংস্থাটি মূলত সেই সব দেশগুলোকে সাহায্য করে এবং নজর রাখে যেখানে নারকেল উৎপাদন করা হয়। এই দিনটিকে প্রথমবার ২০০৯ সালে পালন করা হয়। আর কেন ২ সেপ্টেম্বরেই এই নারকেল দিবস পালন করা হয় ভাবছেন? কারণ এই এপিসিসি সংস্থাটি এদিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় সব থেকে বেশি নারকেল উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ভারত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর আগেই যেমনটা বলা হল নারকেলের একাধিক উপকারিতা আছে তাই এই ফল ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি।
নারকেলের উপকারিতা:
*নারকেলের মধ্যে থাকে ফাইবার, দস্তা, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, ইত্যাদি। ফলে এই ফল খেলে একাধিক পুষ্টি পাওয়া যাবে।
*ত্বক ভালো রাখে নারকেল তেল। নরম এবং আর্দ্র রাখে।
*হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে নারকেল।
*কোনও রোগের কারণে দুর্বল হয়ে পড়লে বা পেটের সমস্যা হলে ডাবের জল ভীষণই উপকারী।
*নারকেল তেল চুল ভালো রাখে। চুলে পুষ্টি জোগায় এবং তাকে মজবুত করে এই তেল।
*রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
*হাড় শক্ত করে।
*হজম শক্তি বাড়ায় নারকেল।
*এছাড়াও রান্নায় এই তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।