সারা বিশ্বেই বেড়ে চলেছে ডায়াবিটিসের সমস্যা। শুধু চল্লিশ বছরের বেশি বয়সিদের নয়, কমবয়সীদের মধ্যেও এই রোগ প্রায়ই দেখা যায়। ভারতে এই মুহূর্তে ৭৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত ডায়াবিটিসের সমস্যায়।
আগামী ১৪ই নভেম্বর আন্তর্জাতিক ডায়াবিটিস দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, সারা দেশে ৪২২ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যার বেশিরভাগ মানুষ থাকেন কম আয়যুক্ত দেশগুলোতে। এছাড়াও প্রতিবছর দেড় মিলিয়ন মানুষ এই রোগে মারা যান।
ডায়াবিটিসের সমস্যা হলে খাবারে পরিবর্তন আনা সবচেয়ে বেশি জরুরি। কম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে এমন খাবারই ডায়াবেটিক রোগীর ডায়েটে থাকা উচিত। এছাড়াও রোজকার ডায়েটে কিছু নির্দিষ্ট খাবার থাকলে ডায়াবিটিস সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
সম্প্রতি ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ কোথচ ও পুষ্টিবিদ উর্বশী আগরওয়াল জানিয়েছেন এমন পাঁচটি বীজের কথা। এই পাঁচটি বীজ রোজকার ডায়েটে থাকলে ডায়াবিটিস সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১. মেথিবীজ: মেথিবীজের মধ্যে রয়েছে গ্যালাক্টম্যানান নামক একটি দ্রবণীয় ফাইবার। এই ফাইবার খাবার হজমের প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। এর ফলে শরীর দ্রুতগতিতে কার্বোহাইড্রেট শোষণ করতে পারে না। স্বাভাবিকভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণও কম থাকে।
২. আজোয়ান বীজ: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় আজোয়ান রোজকার ডায়েটে থাকা জরুরি। প্রদাহ প্রশমনের গুণ থাকায় এটি ক্ষত তাড়াতাড়ি সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেটাবলিজম দ্রুত করতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের ওজন কমানোও সুবিধাজনক হয়।
৩. সবজা বীজ: তুলসী বীজেরই আরেক নাম হল সবজা বীজ। একে অনেকে বাসিলের দানাও বলে থাকেন। প্রধান খাবার খাওয়ার আগে সবজা বীজ খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ সহজে বাড়তে পারে না। টাইপ-২ ডায়াবিটিস আছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে সবজা বীজ যথেষ্ট উপকারী।
৪. ফ্লাক্স বীজ: ডায়াবিটিসের ডায়েটে ফ্লাক্স বীজও সমানভাবে উপকারী। ফ্লাক্স বীজে রয়েছে বেশ কয়েকটি অদ্রবণীয় ফাইবার। এই ফাইবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখার পাশাপাশি পেটের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ফ্লাক্স লিগন্যান থাকায় এই বীজ টাইপ-১ ডায়াবিটিসের পাশাপাশি টাইপ-২ ডায়াবিটিস সারাতেও মুখ্য ভূমিকা নেয়।
৫. কুমড়োবীজ: কুমড়োবীজে থাকা একাধিক পুষ্টি উপাদানের জন্য এটি ডায়াবিটিক রোগীর ডায়েটে থাকা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাইগোনিলিন, নিকোটিনিক অ্যাসিড ও ডি-চিরো-ইনোসিটল। এছাড়াও এতে রয়েছে ডায়েটারি ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ ও ওমেগা-৬ অ্যাসিড যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।