প্রতি বছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। যাতে মানুষ এই রোগেও সুস্থ ও সাদাসিধে জীবনযাপন করতে পারে এবং ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি এড়াতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক সময় মানুষের মনে অনেক ভুল ধারণা বাসা বাঁধে। যার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রয়োজন। জেনে নিন এমনই ৭টি মিথ, যা ডায়াবেটিস নিয়ে প্রায়ই মানুষের মনে ঘুরপাক খায়।
বাজারে অনেক ধরনের চকলেট, কুকিজ, বিস্কুট ইত্যাদি ডায়াবেটিস বান্ধব বলা হয়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদেরও এই ধরনের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এগুলিতে ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে। এছাড়াও, এতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টি রেচক প্রভাব তৈরি করে। এ অবস্থায় এসব খাবার খাওয়া নিরাপদ নয়।
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ফল ক্ষতিকর কারণ এতে চিনি থাকে, কিন্তু মনে রাখবেন এটি প্রাকৃতিক চিনি যা আপনার ডায়াবেটিস বান্ধব কেক, বিস্কুট, মিষ্টির চেয়ে ভালো। এর পাশাপাশি ফলের মধ্যে আরও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের সাথে চিনি খাওয়া বা না খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ জেনেটিক এবং আপনার জিনে ঘটে। যার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অগ্ন্যাশয়ে তৈরি হওয়া ইনসুলিনকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয়, টাইপ ২ ডায়াবেটিসেও সুগারের হাত নেই। উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার প্রায়শই উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার। যা স্থূলতা ও অতিরিক্ত ওজনের দিকে পরিচালিত করে, যা ডায়াবেটিসের কারণ।
অনেকে মনে করেন যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ হালকা এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যদিও এটি সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ, জীবনযাত্রা ও খাবারের পরিবর্তন খুবই জরুরি। অন্যথায়, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস থেকে শুরু করে পায়ে ক্ষত, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে।
আপনি যদি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী হন এবং অনেক বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা কখনোই স্বাভাবিক হবে না। কিন্তু একবার ওষুধ খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলে, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এলে অনেক সময় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে পারেন। তবে প্রতিদিন খাওয়া ক্ষতিকর হবে।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আলাদা পথ্যের ব্যবস্থা নেই
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আলাদা পথ্যের ব্যবস্থা নেই। একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েটে ফলমূল, শাকসব্জী, ডাল, কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, ডিম, মাছের মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ফলমূল, শাকসবজি এবং দুগ্ধজাত খাবারে প্রাকৃতিক চিনি থাকে বলে খাওয়ার মাধ্যমে চিনি পুরোপুরি এড়ানো কঠিন। যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।