প্রতি বছর ২১ মার্চ World Down Syndrome Day হিসাবে পালন করা হয়। ১৮৬২ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক John Langdon Haydon এই অসুখটিকে চিহ্নিত করেন। তবে ১৯৫৯ সালের আগে এটির কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই বছর ফরাসি বিজ্ঞানী Jérôme Lejeune এটির কারণ খুঁজে পান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর ৩ থেকে ৫ হাজার শিশু এই সমস্যা নিয়ে জন্মায়।
কী এই ডাউন সিনড্রম (What is Down syndrome)?
এটি জিনঘটিত একটি অসুখ। যাঁদের জিনে স্বাভাবিকের তুলনায় একটি ক্রোমোজোম বেশি থাকে, তাঁধের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়। জন্মের সময়েই এই অসুখটির লক্ষণগুলি টের পাওয়া যায়।
ডাউন সিনড্রমের লক্ষণগুলি কী কী (Symptoms of Down syndrome)?
চিকিৎসকরা বলছেন, এই সমস্যায় শিশুদের বুদ্ধির বিকাশ স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে হয়। শিশুদের শারীরিক বিকাশও ঠিক করে হয় না। এছাড়াও যে সমস্যাগুলি দেখা যায়:
- উচ্চতা কম
- মুখমণ্ডলের বিকাশও স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো হয় না
- জিভের জড়তা
- পেশির আড়ষ্টতা
- স্মৃতিশক্তি দুর্বল
- ভাষাশিক্ষাও অত্যন্ত ধীর গতিতে হওয়া
কী করে ডাউন সিনড্রম ধরা পড়ে (Diagnosis)?
গর্ভাবস্থাতেই পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা টের পাওয়া যেতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় না। শিশুর জন্মের পরে তার চেহারা দেখে এটি বোঝা যায়।
কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি (Risk factors)?
এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি কারণ বলেন চিকিৎসকরা।
- যে সব মহিলারা ৩৫ বছর বয়সের পরে মা হন, তাঁদের সন্তানের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বাড়ে বলে মনে করেন অনেকে। যদিও এটি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
- যে সব বাবা-মায়েদের ইতিমধ্যেই এমন সন্তান রয়েছে, যার এই সমস্যা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পরের সন্তানেরও এই ঝুঁকি থেকে যায়।
- যদিও মনে করা হয়, এর সঙ্গে বংশগত কোনও সম্পর্ক নেই, কিন্তু ৩ থেকে ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পরিবারে এই রোগের ইতিহাস থাকলে কোনও শিশুর এই সমস্যা হতে পারে।
ডাউন সিনড্রমে আক্রান্তদের আয়ু কেমন হয় (Average life expectancy)?
হালে চিকিৎসব্যবস্থার উন্নতির কারণে এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা মোটামুটি সুস্থভাবেই বহু দিন বাঁচতে পারে। ৬০ বছরের উপরে বেঁচে থাকতে পারেন এই সমস্যায় আক্রান্তদের অনেকেই।
ডাউন সিনড্রমের চিকিৎসা কী (Treatment)?
এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা পুরোপুরি সারানোর মতো কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি নেই। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, নানা ধরনের থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।