করোনা মহামারীর কারণে সকলের কাছেই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আর তা হল, সুস্থ থাকতে নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ঠিক রাখতে হবে। যার ইমিউনিটি তত কম, তাঁর চট করে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও তত বেশি। বিশ্ব জুড়ে ১৬ অক্টোবর দিনটি ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ডে’ হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বে বহু মানুষ এখনও ক্ষুধার জ্বালায় ভোগেন। আর এই ক্ষুধার সমস্যা সমাধানের প্রতীক হিসেবেই আজকের দিন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। আজকের দিনে মানুষের মধ্যে সচেতনাতা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় সঠিক খাদ্য ও পুষ্টিকর খাদ্যাভাস নিয়ে। তাই আসুন, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জেনে নিই।
আদা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আদা শরীরকে উষ্ণ রাখে। বর্তমানে আবহাওয়া ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করেছে, তাই আপনি আপনার ডায়েটে আদা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে আছে প্রোটিন, ফ্যাট-সহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয় উপাদান এবং কার্বোহাইড্রেট।
সবুজ শাকসবজি এবং ফল
সবুজ শাক-সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। শীত মানেই শাক-সবজির মরশুম। তাই আপনার ডায়েটে নান সবজি ও শাক রাখুন। এর পাশাপাশি ফলও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। প্রতিদিনের ফল ও সবজি খাওয়া খুব উপকারী।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে। এর বাইরে এটিকে ফাইবারের পাওয়ার হাউসও বলা হয়। এতে উপস্থিত পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ এবং বিটা ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, এটি অ্যালার্জি থেকেও রক্ষা করে।
হলুদ
এটি প্রতিদিনের খাবারে মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। হলুদ খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং মেজাজও ভালো থাকে। এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন আখি গুড় দিয়ে। এছাড়া হলুদ দিয়ে বানাতে পারেন ডিটক্স ড্রিঙ্কও।