সুস্থ হৃদয়ের জন্য সকলে নানান ধরণের চেষ্টা করে থাকেন। ব্যায়াম থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার, সব দিকেই নজর থাকে আমাদের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে লাল রঙের খাদ্যবস্তু ডায়েটে রাখলে হৃদয় সুস্থ থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জানুন, কী ভাবে নিজের হৃদয়কে রাখবেন সুস্থ ও শক্তপোক্ত।
আপেল- অ্যান অ্যাপেল আ ডে, কিপস দ্য ডক্টর আওয়ে— এই বাক্যটিতো সকলেরই জানা। ৪০ শতাংশ ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল কম করতে পারে এই ফল। অন্যদিকে মেনোপজে পৌঁছে যাওয়া ৩৪ হাজার মহিলার ওপর ১৮ বছর পর্যন্ত করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে আপেল খেলে হৃদরোগের কারণে মৃত্যুর আশঙ্কা কমতে পারে।
বেদানা- বেদানায় ট্যানিন ও অ্যান্থোসায়নিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। বেদানার রস ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি গুড কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করে ও এলডিএল কম করে। এর ফলে রক্তচাপের ভয়ও কম হয়। হৃদরোগীদের প্রত্যহ বেদানা খাওয়া উচিত।
স্ট্রবেরি- এন্থোসায়নিন ও কিউরসেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই ফল। এটি হৃদয়ের পক্ষে উপকারী। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে হৃদয়রোগের অন্যতম কারণ ডায়বিটিজের সম্ভাবনা কমানো সম্ভব হয়।
বিট- এটে ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো পুষ্টিকর উপাদান থাকে। এতে উপস্থিতি নাইট্রেট শরীরে নাইট্রিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। রক্তপ্রবাহে উন্নতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি সাহায্য করে।
টমেটো- টমেটোয় লাইকোপিন থাকে। এটি হৃদয় সুস্থ রাখতে ও হৃদরোগের হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
মুসুর ডাল- এটি ফাইবার যুক্ত ও লো গ্লাইসেমিক ফুড। এ কারণে লাল ডাল প্রোটিনের উল্লেখযোগ্য উৎস। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করবে। এতে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামও থাকে, যা হৃদয়কে মজবুত করে।
তরমুজ- এতে ৯০ শতাংশ জল থাকে। টমেটোর চেয়েও বেশি লাইকোপিন থাকে তরমুজে। লাইকোপিনে অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুণ থাকে, যা হৃদরোগের আশঙ্কাকে কম করে।