মাঙ্কিপক্স নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশ মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজারের কাছাকাছি মানুষ এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। আর সেই কারণেই World Health Network এই রোগটিকে অতিমারি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, মাঙ্কিপক্স আটকানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহলে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
এখনও পর্যন্ত এই পক্সে মৃত্যুর হার খুবই কম। কিন্তু অতি দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। আর সেটিই উদ্বিগ্ন করেছেন World Health Network-এর বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, এই রোগটি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিশেষ আতঙ্ক তৈরি হয়নি। তার সবচেয়ে বড় কারণ, এটিতে মৃত্যুর হার কম। তাছাড়া অতি সহজে এই রোগটি চিহ্নিত করা যায়। তাই উপসর্গহীনভাবে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও প্রায় নেই। (আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স থেকে বাঁচতে কি হস্তমৈথুনও করা যাবে না? নতুন নির্দেশিকায় কী কী বলা হল)
World Health Network-এর বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পরেও আশঙ্কা থেকেই যায়। কারণ যে হারে এটি ছড়াচ্ছে, তাতে এর মিউটেশনের আশঙ্কাও বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই সংক্রমণে মৃত্যুর হার যে বাড়বে না, তা বলা যায় না। পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে মাঙ্কিপক্সে বহু মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারাতেও পারেন। বিভিন্ন অঙ্গও বিকল হয়ে যেতে পারে এতে। (আরও পড়ুন: কেন বদলে যাচ্ছে মাঙ্কিপক্সের নাম? এই রোগটি নিয়ে নতুন কোন তথ্য পেলেন বিজ্ঞানীরা)
কিন্তু এটিকে অতিমারি ঘোষণার পিছনে অন্য উদ্দেশ্যও রয়েছে। World Health Network-এর তরফে বলা হয়েছে, ‘এটিকে অতিমারি হিসাবে ঘোষণা করা পিছিয়ে দিয়ে কোনও লাভ নেই। বরং একে অতিমারি ঘোষণা করা হলে, বহু দেশে এ নিয়ে সতর্কতার পরিমাণ বাড়বে। তাতে অনেকেই এটি ছড়ানোর আশঙ্কাও কমবে।
করোনাকে অতিমারি হিসাবে ঘোষণা করার পরে সারা পৃথিবীতেই অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল। অর্থনীতি ভিত্তি বহু জায়াগাতেই ভেঙে পড়ে। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমন আশঙ্কা কম। কারণ মাঙ্কিপক্স সহজেই চিহ্নিত করা যায়। শুধু দরকার অতিরিক্ত সচেতনতার। তাই এই রোগটিকে এখনই অতিমারি ঘোষণা করা উচিত World Health Organization-এর। এমনই দাবি করা হয়েছে World Health Network-এর তরফে।