ধূমপান, উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার-দাবার, উচ্চ কোলেস্টেরল, মেদবহুলতা হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণ। হৃদযন্ত্রে রক্ত পৌঁছতে না-পারলে ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়। উপরোক্ত কারণ ছাড়াও আরও নানান কারণে হার্ট অ্যাটাক দেখা দিয়ে থাকে। আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে। আজ এমন কয়েকটি কারণ বিষয় জানানো হল, যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়—
কম ঘুম- ক্লান্তি সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে না-ঘুমালে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পতে পারে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, যাঁরা ৬ ঘণ্টা ঘুমান, তাঁদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তির তুলনায় দ্বিগুণ। কম ঘুমালে রক্তচাপ ও ইনফ্লেশানের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
মাইগ্রেন- মাইগ্রেনের সমস্যা হলে স্ট্রোক, বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোনও ব্যক্তির মাইগ্রেন ও হৃদরোগ দুই-ই থাকলে, ট্রিপট্যান নামক মাইগ্রেনের ওষুধ তাঁদের খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি রক্তবাহিকাকে সঙ্কুচিত করে দেয়। তবে এই ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন।
ঠান্ডা আবহাওয়া- তাপমাত্রা কম হলে ধমনী পাতলা হয়ে যায়, এ কারণে হৃদযন্ত্রে রক্ত সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই এই মরশুমে মাংসপেশী উষ্ণ রাখার জন্য এক্সারসাইজ করা উচিত।
বেশি খাওয়া- একবারে অনেক বেশি খেলে শরীরে নরেপিনেফ্রিন নামক স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ হতে শুরু করে। এটি রক্তচাপ ও হার্টরেট বাড়িয়ে হার্ট অ্যাটাককে ট্রিগার করে। আবার অধিক ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলেও রক্তে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি আবার অস্থায়ী ভাবে রক্ত বাহিকা ড্যামেজ করতে পারে।
আবেগ- রাগ, শোক, অবসাদের মতো আবেগ হৃদযন্ত্রের নানান সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। আবার অনেক বেশি আনন্দও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আনন্দ হোক বা কষ্ট, কোনওটিকেই নিজের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে দেবেন না।
এক্সারসাইজ- হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য এক্সারসাইজ করা খুবই ভালো। তবে খুব বেশি এক্সারসাইজ করলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে অধিক পরিমাণে ফিজিক্যাল এফর্টের কারণে ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে।
সেক্স- এক্সারসাইজের মতোই সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটিও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেক্স জীবনের অঙ্গ এবং এটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর হওয়া উচিত। তবে হৃদরোগ থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে পারেন।
কফি- এতে উপস্থিত ক্যাফিন কম সময়ের জন্য হলেও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারে। তবে দিনে ২ থেকে ৩ কাপ কফি পান করে থাকলে কোনও সমস্যা দেখা দেয় না।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা- সকালে হার্ট অ্যাটাক হওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। আমাদের মস্তিষ্ক শরীরকে হরমোনে ভরে দেয়, যা আমাদের ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করে। এ কারণে হৃদয়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ বাড়ে। অনেকক্ষণ ঘুমানোর পর ডিহাইড্রেটেডও হতে পারেন, এর ফলে হৃদযন্ত্রকে অধিক পরিশ্রম করতে হয়।