আজ বিশ্ব কিডনি দিবস। এমন একটি দিনে, কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির একাধিক উপায় বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন কোন কোন লক্ষণ দেখলেই কিডনির রোগের বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রক্তচাপের মাত্রা নির্দিষ্ট পর্যায়ে না থাকে, তাহলে তা প্রবলভাবে ক্ষতি করে দিতে পারে কিডনির। প্রাথমিকভাবে তা বোঝা যায় না। যদি রক্তপ্রবাহের মধ্যে ব্লাড সুগারের সমস্যা থাকে, তাহলে রক্তবাহিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে তারা স্বাভাবিক কাজটি করতে পারেনা। আর তার জেরেই সমস্যা তৈরি হয় শরীরে। তবে ডায়াবেটিস প্রভাব ফেলার চিহ্ন সহজে দেখা যায় না শরীরে।
উল্লেখ্য, রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে গ্লোমেরুলি ব্লক হয় এবং সেগুলি সংকুচিত হয়। এভাবে রক্ত প্রবাহ কমে যায় এবং কিডনি ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, রক্তনালীগুলি ফুটো হয়ে যায় এবং প্রস্রাবে প্রোটিনের ক্ষয় হয়। ডায়াবেটিস মূত্রাশয়ের অভ্যন্তরীণ স্নায়ুগুলির ক্ষতি করে যার কারণে মূত্রাশয় পূর্ণ হয়ে গেলেও তার সংবেদনশীলতা কমে যেতেই তা টের পাওয়া যায় না। সমস্যা হয় প্রস্রাব ধরে রাখতে এবং কিডনিতে পিছনের চাপ বৃদ্ধি করে। চিকিৎসকরা বলছেন, ইউরিন-অ্যালবুমিন ক্রিয়েটিনিন রেশিও টেস্ট করলে ডায়াবেটিস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে মূত্রে প্রোটিনের মাত্রা কতটা রয়েছে তা জানা যায়। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে কিডনির কার্যকরী ক্ষতি রোগ শুরুর ২-৫ বছর থেকে দেখা যেতে পারে এবং এটি বেড়ে গেলে ১০-৩০ বছর সময় লাগতে পারে যখন টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগ নির্ণয়ের সময় কিডনি প্রভাবিত হতে পারে, তবে অগ্রগতি টাইপ ১ ডায়াবেটিসের মতো হতে পারে।
উপসর্গ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যার উপসর্গ ডায়াবেটিসের পরবর্তী পর্যায়ে দেখা যেতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে পায়ের ফোলাভাব, ফেনা যুক্ত প্রস্রাব, দুর্বলতা হল কিডনির ডায়াবেটিস জনিত রোগের দ্বিতীয় ধাপ। এছাড়াও বমি বমি ভাব ও শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়।
কীভাবে কাটানো যাবে কিডনির সমস্যা ?
*স্বাস্থ্যকর খাবার যদি খানিকটা সময় পর পর খাওয়া যায়, তাহলে কেটে যেতে পারে কিডনির সমস্যা। বেশি শাকসবি, কম চিনি ও নুন দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। কম তেলের রান্না এর জন্য উপযোগী।
*ধূমপান ছেড়ে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
*মদ্যপান ছেড়ে দেওয়া উচিত।
*সপ্তাহে ৫ দিন ২০ মিনিট করে রোজ যোগাসন বা ব্যায়াম করা উচিত। এতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
*ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। ব্লাড প্রেশার ও কেলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।