DELHI : সারা দিনের খাটুনি এবং তার ফলে হওয়া শরীরের ক্ষয় থেকে শরীরকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ঘুম খুব দরকারি। আমাদের প্রত্যেকের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন আছে। কিন্তু অনেকেরই রাতে ভালো ঘুম হয় না। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় সমস্ত মানুষের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশে ঘুমের সমস্যা রয়েছে। এবং এর ফলে নানা ধরনের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা।
কী কী সমস্যা হতে পারে এর ফলে? খামখেয়ালী বা অমনোযোগী হওয়ার বাইরেও, মানসিক স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা হতে পারে কম ঘুমের কারণে। তালিকাটা রীতিমতো লম্বা।
- তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ পড়া
- ডায়াবিটিস
- হার্টের সমস্যা
- এমনকী পথ দুর্ঘটনার জন্য অনেক ক্ষেত্রে দায়ী কম ঘুম
বিশ্বজুড়ে, অনিদ্রা একটি বড় সমস্যা। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এঠি বোঝা খুবই দরকারি, কীভাবে ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক শিবাশিস দে জানিয়েছেন, ‘এখন আমরা কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসছি। এই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। এখন দ্রুত গতির জীবনধারা এবং বাড়তি কাজের কারণে মানসিক চাপের মাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে। যা অজান্তেই ঘুমের মানকে প্রভাবিত করে। ঘুম আবার নানাভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’
কত ক্ষণ ঘুমোতেই হবে? চিকিৎসকের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত। তাতে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময়টা আরও বেশি।
চিকিৎসকের কথায়, ‘ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিশ্রামের মাধ্যম। এটি হার্ট এবং রক্তনালীগুলিকে শান্ত করে, এগুলির নিরাময় করে, একই সঙ্গে স্নায়ুর ক্ষমতা বাড়ায়। ঘুম কমলে বিচারবুদ্ধি, কর্মক্ষমতা এবং মেজাজ খারাপ হতে পারে। ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে এই সম্পর্কের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।