DELHI : নতুন প্রজন্ম জপের সঙ্গে সেভাবে পরিচিত না হলেও, এই প্রজন্মের মানুষের ঠাকুমা-দিদিমারা এক সময়ে নিয়মিত জপ করতেন। জপ যে শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার, তা মনে করেন না অনেকেই। অনেকেরই মতে, এর সঙ্গে যোগ আছে শরীরেরও। বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে রীতিমতো যোগ রয়েছে এই জপের।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রকৃতি পোদ্দার জানিয়েছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে, নেগেটিভ চিন্তা দূরে রাখতে মন্ত্র জপের তুলনা হয় না। একই সঙ্গে এই অভ্যাস বা প্রক্রিয়া ভিতর থেকে মানুষকে শান্ত করে।
দেখে নেওয়া যাক, এর ফলে কী কী উপকার পাওয়া যায়।
১। শান্ত মন
শরীরের উপর মন্ত্রের প্রভাব বহু দূর পর্যন্ত পড়ে। আপনি যখন মন্ত্র উচ্চারণ করে জপ করেন, তখন আপনি এক ধরনের ‘ট্রান্স’-এর মধ্যে পড়েন। এটি নিজে থেকেই আপনার শ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে, এটিকে গভীর করতে এবং এটিকে ছন্দে বাঁধতে সাহায্য করে। এই ছন্দটি মন এবং স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করতে সাহায্য করে, সামগ্রিক সুস্থতা এবং স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
২। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে
প্রাচীন কালে এমন অনেক মন্ত্র নির্মাণ করা হয়েছিল, যা শরীরের নির্দিষ্ট চক্র বা শক্তিকে প্রভাবিত করবে। পরিচিত মহাবিশ্বের সবকিছুই কম্পনশীল শক্তি দিয়ে তৈরি। নির্দিষ্ট ধ্বনি এবং মন্ত্র উচ্চারণ থেকে আসা কম্পনগুলি বিভিন্ন চক্রকে সক্রিয় বা ভারসাম্য বজায় রাখতে, তাদের সাজাতে বা সারা শরীরে শক্তির প্রবাহ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি যখন মন্ত্র উচ্চারণ করে জপ করেন, তখন ঋষিদের দ্বারা যত্ন সহকারে নির্মাণ করা প্রাচীন শব্দ কম্পনগুলি আপনার শরীরকে প্রভাবিত করে। এবং শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো
মন্ত্র যেমন শরীরকে প্রভাবিত করে, তেমনি মনের উপরও এর প্রভাব রয়েছে। দু’টি গভীরভাবে জড়িত। ঠিক যেমন কিছু শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল আপনার শারীরিক সুস্থতর উপর ইতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে, জপও তেমনই প্রভাব ফেলে মনের উপর।
৪। মনসংযোগ বাড়িয়ে দেয়
জপের সময়ে ধ্যান দারুণ উপকারি হতে পারে। মনকে শান্ত করার জন্য এর কোনও তুলাই নেই। মন্ত্র জপ করলে মনসংযোগের ক্ষমতা বেড়ে যায় বলেই মনে করেন অনেকে। বিশেষ করে যাঁদের মনোসংযোগের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এঠি খুব কাজের।
৫। শুনলেও অনেক উপকার
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, মন্ত্রগুলির মধ্যে যা আপনার মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব বাড়িয়ে দেয়। তার জন্য জপ করতে হবে না, শুধু মাত্র সেগুলি শুনলেই অনেক কাজে দেবে। যে কোনও সময়ে এগুলো শুনতে পারেন। শোওয়ার সময়ে, ফাঁকা সময়ে, এমনকী স্নান করতে করতে শুনলেও উপকার পাবেন।