'ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর'। সকলেই এটি জানেন। কিন্তু ধূমপানের অভ্যাস ছাড়া খুব একটা সহজ নয়। অনেকেই বারবার চেষ্টা করেও ফের সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়েন।
শুধু ফুসফুস নয়। ধূমপান গোটা শরীরেই অনেক খারাপ প্রভাব ফেলে। ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছর ৩১ মে 'বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস' পালন করা হয়।
বলাই বাহুল্য, তামাক সেবনের ফলে অনেক গুরুতর রোগ হয়। নিকোটিনের মাত্রাতিরিক্ত সেবনের ফলে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
ধূমপানের ফলে দীর্ঘস্থায়ী কাশি, ল্যারিঞ্জাইটিস, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগ হতে পারে। তা ছাড়া, এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে তামাক যৌন উত্তেজনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
ভারতে, সেক্স নিয়ে সবাই সরাসরি মুখ খুলতে ভয় পান। ফলস্বরূপ, ধূমপানের ফলে যে যৌন জীবনেও প্রভাব পড়ে, তা জানেন না অনেকেই। অনেকেই জানেন না যে, ধূমপানের ফলে বেডরুমের পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে।
গবেষণা বলছে, নিকোটিন, কার্বন মনোক্সাইড, ফ্রি র্যাডিকেলস-সহ সিগারেটে উপস্থিত পদার্থগুলি রক্তনালী সংকোচন করে। এই ভাসোকনস্ট্রিকশন পুরুষ ও মহিলাদের যৌন উত্তেজনাকে প্রভাবিত করে।
পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের উপর ধূমপানের প্রভাব
যৌনজীবনে ধূমপানের সবচেয়ে বড় প্রভাব হল ইরেক্টাইল ডিসফাংশন। সিগারেট শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে প্রভাবিত করে। এর ফলে পুরুষের যৌনাঙ্গে অপর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ হয়। এছাড়াও, সিগারেট দ্বারা নির্গত ধোঁয়া লিবিডো এবং ইচ্ছার উপর প্রভাব ফেলে। এটি টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ হ্রাস করে।
অন্যদিকে এই টেস্টোস্টেরনের নিঃসরণ হ্রাসের কারণে শরীরে পেশি গঠনও হ্রাস পায়। ফলে মেদ জমার প্রবণতা বাড়ে।
মহিলাদের যৌন স্বাস্থ্যের উপর ধূমপানের প্রভাব
মহিলাদের ধূমপানের ফলে দুর্বল রক্তসঞ্চালন হয়। আর সেই কারণে তাঁদের যোনিপথের লুব্রিকেশন হ্রাস পায়। এর ফলে মিলনে সমস্যা হয়। উত্তেজনা সীমিত হয়।
সন্তান ধারণে সমস্যা
ধূমপানের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই ফার্টিলিটি হ্রাস পায়। ফলে সন্তানধারণের পরিকল্পনা করা পুরুষ-মহিলা উভয়েরই ধূমপান ত্যাগ করা প্রয়োজন।
ফুসফুসের প্রভাব
এ কথা অনস্বীকার্য যে ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর কারণে বেডরুমে দ্রুত ক্লান্তি, হাঁফ ধরার মতো সমস্যা হতে পারে।