শতাধিক অভাগা শিশুর প্রতি মাতৃত্ব দেখালেন মহিলা। নিজের ব্রেস্টমিল্ক দান করে গড়েছেন বিশ্ব রেকর্ড। ২০১৪ সাল থেকে এই কাজ করছেন তিনি। প্রথমবারেও বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন। আর এবার আরও বেশি ব্রেস্টমিল্ক দান করে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন তিনি।
গিনেস বুক অফ রেকর্ডস অনুসারে, মহিলাটি ২,৬৪৫.৫৮ লিটার দুধ দান করেছেন। এই মহিলার নাম অ্যালিস ওগলেট্রি। ৩৬ বছর বয়সী ওগলেট্রি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে থাকেন। ২০১৪ সালে ওগলেট্রিও প্রথম রেকর্ডটি করেছিলেন। সে সময় তিনি ১৫৬৯.৭৯ লিটার দুধ দান করেন। আর ঠিক ১০ বছর পর, অর্থাৎ চলতি ২০২৪ সালে, নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন।
এ পর্যন্ত ৩৫০,০০০ শিশু পুষ্ট হয়েছে তাঁর দুধে
মহিলার দান করা দুধ উত্তর টেক্সাস ভিত্তিক মাদারস ব্যাঙ্কে দেওয়া হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত যে পরিসংখ্যান ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি দান করেছেন ওই নারী। উত্তর টেক্সাসের মাদারস মিল্ক ব্যাঙ্কের মতে, এক লিটার দুধ ১১ অভাগা শিশুকে পুষ্ট করতে পারে। তাই অনুমান অনুযায়ী, মহিলাটি এ পর্যন্ত ৩৫০,০০০ শিশুদের সাহায্য করেছেন।
২০১০ সাল থেকে দুধ দান শুরু হয়
এলিস বলেন যে সবার আগে আমার একটি বড় হৃদয় আছে। আমি ভালো কাজের জন্য টাকা দিতেতে পারি না। কারণ আমার পরিবারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব আমার উপর। তাই, বিক্রি করার পরিবর্তে দুধ দান করেই তিনি ভালো কাজ করেন বলে দাবি ওগলেট্রির। মহিলা আরও জানান, ২০১০ সালে আমি আমার প্রথম ছেলে কাইলির জন্মের পর থেকে দুধ দিতে শুরু করি। সেই একরত্তির বয়স এখন ১৪ বছর। জানা গিয়েছে, তাঁর আরও দুই সন্তান রয়েছে - কেজ, ১২ এবং কোরি, ৭। সারোগেট মা হওয়ার পর এই দুধ দান করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: (Abacus-র আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজিত হল কলকাতার বুকে, যোগ দিল কোন কোন দেশ)
'দুধ দান বিশ্বের সেরা অনুভূতি'
সারা বিশ্বের অনেক নারী ব্রেস্টমিল্ক প্রোডিউস বা উৎপাদন না করতে পারার সমস্যায় ভুগছেন। তাঁদের সন্তানরা কষ্ট পাচ্ছে, অপুষ্টিতে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের দুধ ফেলে না দিয়ে, তিনি তা দান করতে শুরু করেন। ওই মহিলা জানান, তিনি জানতেন না যে তার নিজের দুধও দান করা যায়। বলেন, আমার প্রথম ছেলের জন্মের সময়, আমি সাধারণ মহিলাদের চেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন করছিলাম। অতিরিক্ত দুধ ফেলে দিতাম। তখন একজন নার্স দুধ দান করার কথা বলেন। এরপর থেকে দুধ দানের প্রক্রিয়া চলতে থাকে। মহিলার মতে, দুধ দান বিশ্বের সেরা অনুভূতিগুলির মধ্যে একটি।
এলিস আরও জানান, মাদারস ব্যাঙ্ক আমাকে বলেছিল যে এক আউন্স দুধ তিন অকাল শিশুকে পুষ্ট করতে পারে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে, এখনও পর্যন্ত আমি ৩৫০,০০০ এরও বেশি শিশুকে সাহায্য করেছি। তবে, এই বিশ্ব রেকর্ডটি তৈরি হয়েছিল মাত্র ৮৯,০০০ আউন্স দুধে। উপরন্তু আমি প্রায় ৩৭,০০০ আউন্স দুধ টিনি ট্রেজারে এবং কয়েকশ আউন্স দুধ আমার বন্ধুদেরও দান করেছি।