1/10বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে? তাহলে মনে রাখতে হবে আপনার শরীর এবার বদলাচ্ছে। বহু ধরনের হরমোনের তারতম্য হতে পারে এবার। শুধু তাই নয়, এবার পেশির ক্ষমতাও কমতে পারে। তাই এবার থেকে আলাদা করে নজর দিতে হবে স্বাস্থ্যের দিকে। বিশ্ব প্রবীণ নাগরিক দিবসে রইল তেমনই ৯টি টিপস। এগুলি আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
2/10এই বয়সে পৌঁছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। তাই এই সময়ে রোগবালাই থেকে দূরে থাকা দরকার। যত দূর সম্ভব সাবধানে থাকুন। যাতে সংক্রামক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারেন, তার ব্যবস্থা নিন।
3/10এই বয়সে এসে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করার ক্ষমতাও কমে। তাই এই সময়ে আলাদা করে ভিটামিন বা মিনারেল সাপ্লিমেন্ট খাওয়াও দরকার। তবে সেটি অবশ্যই চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করে। তাঁদের পরামর্শ মতো মাল্টিভিটামিন খেতে পারেন এই সময়ে।
4/10কাজ কর্ম একেবারে বন্ধ করে দেবেন না। কায়িক পরিশ্রম না করলেও নিজের মতো ‘অ্যাকটিভ’ থাকার চেষ্টা করুন। যতটা সম্ভব চনমনে থাকুন। তাতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
5/10হালে করোনা তো বটেই আরও নানা ধরনের সংক্রামক রোগের হার বেড়েছে। যাঁদের বয়স ৬০-এর উপরে উঠে গিয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই এমন ধরনের রোগ থেকে দূরে থাকুন। কেউ অসুস্থ— এ কথা জানতে পারলে, তিনি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁর আশপাশে যাবেন না। ভিড় এড়িয়ে চলুন।
6/10নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় যা যা চেক-আপ করানোর আছে, সেগুলি করিয়ে ফেলুন। এতে আপনার শরীর কেমন থাকছে, তার স্পষ্ট ছবিটি দেখতে পাবেন।
7/10মানসিক চাপ থেকে যত দূরে থাকা যায়, তত দূরে থাকুন। দরকার হলে পছন্দের গান শুনুন, বই পড়ুন। এগুলি মন ভালো রাখতে সাহায্য় করবে, মানসিক চাপ কমাবে।
8/10এই সময়ে ডায়েটে নজর দেওয়া খুব দরকারি। প্রয়োজনীয় সব ক’টি খাদ্যগুণ শরীরে যাচ্ছে কি না, সেটি দেখা যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি হল যে খাবারগুলি খাচ্ছেন, সেগুলি আপনার শরীরের জন্য ভালো কি না, তা বোঝা। সেই বুঝে বিশেষজ্ঞের থেকে ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন।
9/10মনে রাখবেন, যে কোনও ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় অপরিষ্কার হাত। এই বয়সে পৌঁছে গেলে ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
10/10শেষ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা। মনে রাখবেন, এই বয়সে বিশ্রাম খুব দরকারি। তাই নিয়ম করে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন। তাতে শরীর ভালো থাকবে।