আজ ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে। স্মাইল বা হাসির নাম শুনলেই ঠোঁটের কোণ নিজেই চওড়া হয়ে যায়। মন ভরে যায় আনন্দে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম শুক্রবার এই দিনটি পালিত হয়। বলতে বাধা নেই যে, সারা বিশ্বে হাসিই হল সবচেয়ে আশাবাদী, শক্তিশালী এবং যোগাযোগ যোগ্য অঙ্গভঙ্গি। একটি হাসিই যে কোনও ব্যক্তির মন জয় করতে পারে। এমনকি হাসির সাহায্যে অসুস্থ ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।
হাসি মুখের ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী এটি। এ কারণে বর্তমানে লাফ্টার ক্লাবের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নানান সমীক্ষা থেকে হাসির একাধিক উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। আপনার অজান্তেই হাসির মাধ্যমে ব্যক্তির শরীরে নানান পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এখানে জানুন হাসি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী—
হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো- হাসির ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। শরীরকে স্বস্তি দেয় এবং হার্ট রেট কম করে। যত কম স্ট্রেস নেবেন, তত বেশি সুস্থ থাকবে আপনার হৃদয়। একটি আশাবাদী, হাসিখুশি মুখই দীর্ঘ জীবন যাপনের চাবিকাঠি।
মস্তিষ্কের পক্ষে উপযোগী- মস্তিষ্কে চাপ যত কম দেবেন, আপনার প্রোডাক্টিভিটি তত বাড়বে। আমরা যখন হাসি, তখন শরীর থেকে এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়, যা ব্যক্তিকে আনন্দিত ও চাপমুক্ত রাখে। এর ফলে মন মেজাজও ভালো হয়।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কার্যকরিতা বৃদ্ধি করে- শুধু হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের ওপরই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপরও আপনার মুখের হাসি প্রভাব বিস্তার করে থাকে। হাসলে শরীর বিশ্রাম ও স্বস্তি পায়, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো ভাবে কাজ করতে পারে। তাই প্রতিদিন হাসতে থাকলে সাধারণ সর্দি-কাশিকে সহজেই দূরে রাখতে পারবেন।
প্রাকৃতিক পেন-কিলার- হাসার সময় শরীর থেকে সেরোটোনিন এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়। এন্ডোর্ফিন একটি প্রাকৃতিক পেন-কিলারের কাজ করে। আবার সেরোটোনিন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট।
বয়স কম দেখাবে- নানান সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, হাসার ফলে বয়স কম দেখায়। সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আপনার মুখের হাসি গড়ে বয়স কমাতে পারে ৩ বছর।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড স্মাইল ডে পালিত হয়। মার্কিনি শিল্পী হার্ভে বল এই দিবস পালনের সূচনা করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি সর্বপ্রথম স্মাইলি ফেস সৃষ্টি করেছিলেন। এই দিন পালনের উদ্দেশ্য হল সকলকে মনে করিয়ে দেওয়া যে, কাজ থেকে বিশ্রাম নেওয়াও জরুরি। কাজের চাপের মধ্যে থাকলেও অন্তত একবার হাসা উচিত।