যক্ষ্মা বা টিবি একটি গুরুতর সমস্যা, যা সময়মতো সনাক্ত না করলে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই কারণেই প্রতি বছর ২৪শে মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়। যাতে এই রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা যায়। যদি সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা শুরু করা হয়, তাহলে রোগীর দ্রুত সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে,যক্ষ্মার সাধারণ লক্ষণগুলি জেনে রাখা ভালো।
যক্ষ্মার লক্ষণ
টিবির সংক্রমণ সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয় তার উপর নির্ভর করে। নিষ্ক্রিয় যক্ষ্মা রোগীদের কোনও বাহ্যিক লক্ষণ থাকে না, যদিও স্ক্রিনিং পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। সক্রিয় যক্ষ্মার লক্ষণগুলি মূলত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এবং সাধারণত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধীরে ধীরে বিকশিত হয়।
সক্রিয় যক্ষ্মার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে
১) রাতে অতিরিক্ত ঘাম এবং জ্বর
২) উল্লেখযোগ্য ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস
৩) ক্রমাগত ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
৪) শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথা
৫) রক্ত বা শ্লেষ্মাসহ অবিরাম কাশি
টিবি সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
১) যক্ষ্মার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী?
টিবির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অবিরাম কাশি, জ্বর, রাতের ঘাম, ওজন হ্রাস এবং ক্লান্তি। যদি আপনি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
২) যক্ষ্মা কি নিরাময়যোগ্য?
হ্যাঁ, সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য। সম্পূর্ণ চিকিৎসার জন্য, ডাক্তারের নির্দেশিত সম্পূর্ণ ঔষধ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
৩) যক্ষ্মা সংক্রমণ এবং যক্ষ্মা রোগ কী?
যক্ষ্মা সংক্রমণে, একজন ব্যক্তির শরীরে যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়া থাকে, কিন্তু সে অসুস্থ হয় না এবং রোগ ছড়াতে পারে না। যক্ষ্মা রোগে, যক্ষ্মায় আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৪) কাদের যক্ষ্মার ঝুঁকি রয়েছে?
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, যেমন এইচআইভিতে আক্রান্ত, তাদের যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়াও, যারা সক্রিয় টিবি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি বাস করেছেন তাদেরও এই রোগের ঝুঁকি থাকতে পারে। এর পাশাপাশি, শিশুদের টিবি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে, বিশেষ করে যদি শিশুরা টিবি ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়