বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > World toilet day: বিশ্ব টয়লেট দিবস কেন পালন করা হয়? জেনে নিন দিনটির ইতিহাস

World toilet day: বিশ্ব টয়লেট দিবস কেন পালন করা হয়? জেনে নিন দিনটির ইতিহাস

বিশ্বের অনেক দেশই শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছে (AFP)

World toilet day significance and importance: বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন করা হয় ১৯ নভেম্বর।‌ এই বছর জাতিসংঘের থিম হল পরিচ্ছন্নতা ও জলের ব্যবহার। জেনে নিন কেন পালন করা উচিত এই দিনটি।

বিশ্ব টয়লেট দিবস পালিত হচ্ছে এই শতাব্দীর গোড়া থেকে। প্রতি বছরই এই দিনটি বেশ গুরুত্ব সহকারে পালন করে জাতিসংঘ। এর কিছু কারণও রয়েছে। এই প্রতিবেদনে থাকছে দিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত হদিশ।

বিশ্ব টয়লেট দিবস কী?

প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন করা হয়। টয়লেট ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই এমন দিন পালন করা শুরু। বিশ্বের অনেক দেশই এখন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে আছে। প্রতি বছর এই দিনে জাতিসংঘ নতুন অঙ্গীকার নিয়ে থাকে।

কোন সাল থেকে পালিত হচ্ছে?

এই শতাব্দীর শুরু থেকেই পালিত হচ্ছে এই দিনটি। ২০০১ সালে প্রথম টয়লেট দিবসের উদযাপন হয়। এরপর ২০১২ সালে দিনটিকে অফিসিয়ালি ছুটির দিনও ঘোষণা করে জাতিসংঘ।

কেন‌ এমন দিন?

আপাতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে না-ই হতে পারে। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শৌচাগারের ভূমিকা অনেকটাই। খোলা জায়গায় শৌচ করলে রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়াও সঠিক পদ্ধতি মেনে শৌচ না করলে নানারকম রোগ ছড়ায়। কিছু কিছু রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশই শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন মানুষ এই অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। অল্প আয়ের দেশগুলোতে এই সমস্যা বেশি। এছাড়া দুর্গম অঞ্চলগুলোতে মানুষ এখনও শৌচের সমস্যায় ভুগছেন। সবার জন্য পরিছন্ন ও নিরাপদ শৌচাগারের ব্যবস্থা করাও এই দিনটির উদ্দেশ্য।

এই বছরের থিম

প্রতি বছরেই এই দিনটিতে জাতিসংঘ কোনও কোনও থিম বেছে নেয়। এই বছর টয়লেট দিবসের থিম হল পরিচ্ছন্নতা ও জল নিয়ে সচেতনতা। পরিচ্ছন্ন থাকলে অনেক সংক্রমণই এড়ানো সম্ভব। টয়লেট অপরিষ্কার থাকলে বেশ কিছু ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে। পাশাপাশি জলের ব্যবহার নিয়েও সচেতন হওয়া জরুরি। সারা বিশ্বে স্বাদু বা পানীয় জলের পরিমাণ কমে আসছে। তাই শৌচাগারে জলের ব্যবহার পরিমাণ বুঝে করা উচিত।

জাতিসংঘের তরফে নিরাপদ পৃথিবীর তৈরির উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল। এগুলোকে বলা হয় সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল। এই লক্ষ্যেরই একটি হল নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগার। ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে সবার জন্য পরিছন্ন শৌচাগার থাকবে, এটাই জাতিসংঘের লক্ষ্য। ভারত ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।

বন্ধ করুন