বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Heart of Pig: শুয়োরের হার্ট বসানোর পরে মৃত্যু হয় রোগীর, সেই মৃত্যুর কারণ নাকি ভয়ঙ্কর জীবাণু

Heart of Pig: শুয়োরের হার্ট বসানোর পরে মৃত্যু হয় রোগীর, সেই মৃত্যুর কারণ নাকি ভয়ঙ্কর জীবাণু

কেন মৃত্যু হয়েছিল রোগীর?

হৃদযন্ত্রটির সমস্য়া নয়, তার ভিতরে থাকা জীবাণুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। শুধু তাই নয়, এই জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে বড় বিপদ হতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা। 

ইতিহাসে প্রথমবার মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শুয়োরের হৃদযন্ত্র। বিশ্বজুড়ে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমনই আশা করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আশা সফল হয়নি। বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল চিকিৎসাবিজ্ঞান। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের দু’মাসের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল সেই রোগীর। তখন মনে করা হয়েছিল, হৃদযন্ত্র ঠিক করে কাজ না করায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু এবার জানা গেল আসল কারণ।

গত জানুয়ারি মাসে বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ৫৭ বছরের এক ব্যক্তির দেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপনের আগে শুয়োরটির জিনগত পরিবর্তন করা হয়। প্রতিস্থাপনের পরে ওই রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাঁর অঙ্গ ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেভিড বেনেট নামে ওই ব্যক্তি কয়েক মাস ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর হৃদপিণ্ড সচল রাখা হয়। তাঁর শরীরের যা অবস্থা ছিল, তাতে মানুষের হৃদপিণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপনের ধকল তিনি সইতে পারতেন না। তাই চিকিৎসকরা শুয়োরের হৃদযন্ত্র দিয়ে কাজটি করেন।

কিন্তু হৃদযন্ত্র কাজ করলেও অন্য কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ভিতরে থাকা বিশেষ ধরনের জীবাণুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ওই জীবাণুর সংক্রমণ না হলে তিনি যে সুস্থভাবেই বেঁচে থাকতেন— এমন সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এই হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সময়ে শুয়োরের ওই বিশেষ জীবাণুটি যদি চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে থাকে, তাহলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। এমনকী আরও একটি অতিমারির আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

বন্ধ করুন