হঠাৎ ঠান্ডায় কাবু সারা উত্তর ভারত। প্রবল শৈত্যপ্রবাহে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। এমনকী শীতের সঙ্গে বাড়বাড়ন্ত দেখা দিচ্ছে নানা রোগের। এই অবস্থায় পৃথিবীর যে শহর সবচেয়ে শীতল, সেখানের বাসিন্দারা কেমন আছেন? শীতের সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে গুছিয়ে নেন তারা? সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে উঠে এল তাদের কথাই।
মস্কো থেকে ৫০০০ কিমি পূর্বের ছোট্ট শহর ইয়াকুটস্ক। জানুয়ারির চলতি সপ্তাহে সেখানে উষ্ণতা নেমেছিল মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সাইবেরিয়ার এই শহরটিই বিশ্বের শীতলতম শহর। এখানে শীতকাল তুলনামূলকভাবে অনেক বেশিদিন। মুলত এই খনির শহরে প্রায়ই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে এক মাছ বিক্রেতাকে দেখা যায় তার পণ্য হাতে। মাছ না বলে তাকে বরফ জমা শক্ত কাঠের মতো পদার্থ বললেও ভুল বলা হয় না।শহরের এক বাসিন্দা অ্যানাস্তাসিয়া গুজডেভার কথায়, 'এই শীতের সঙ্গে লড়ার কথা মাথাতেই আনতে নেই। শুধু তাপমাত্রা কমলে সেই মতো গরম জামাকাপড় পরে নিতে হবে। এটা পুরোটাই নিজের ঠান্ডা লাগার উপর। একটা সময়ের পরে শহরে থাকতে থাকতে আর ঠান্ডা লাগে না। আহলে যেন আমাদের মস্তিষ্কই বলে দিচ্ছে আমাদের আর ঠান্ডা লাগবে না। এভাবেই সবকিছু স্বাভাবিক করে দিচ্ছে।'
সেখানের একটি বাজারের বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, বাজারের বিক্রেতা ও ক্রেতা সকলেই মোটা মোটা গরম জামাকাপড় পরে রয়েছে। যথেষ্ট গরম জামাকাপড়ই প্রবল শীতে তাদের একমাত্র ভরসা। ফলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেই মুখে মিষ্টি হাসি রয়েছে সবার। সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, ছবি তোলার জন্য পোজ দিতে বলা হলে বেশ হাসিমুখেই পোজ দিচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। তাদের কথায়, এটা এখন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কতটা ঠান্ডা লাগছে সেই বুঝে একের পর এক জামা পরে নাও। মাছ বিক্রেতা নুরগুসুন স্তারোস্তিনা জানান, মাইনাস ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের শীতকে কাবু করতে কোনও বিশেষ রহস্য লাগে না।শুধু গরম জামাকাপড় পরতে হবে। পারলে বাঁধাকপির থেকে শিখুন এই রাস্তা। বাঁধকপির মতো স্তরে স্তরে গরম জামাকাপড় পরে ফেলতে হবে। তাহলে আর চিন্তা নেই।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup