মাছের টুকরোর আকার নিয়ে আর দর কষাকষি করতে হবে না বাজারের মাছ বিক্রেতার সঙ্গে। কিভাবে কখনো কতটা কাটতে হবে আর বলে দিতে হবে না সেইসব। কারণ এবার নিজের মনের মতো করে ‘ছাপিয়ে’ নিতে পারবেন মাছ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। নিজের মনের মতো করেই বানিয়ে নিতে পারবেন প্রিয় মাছের ফিলে। শুধু তাই নয়, নিজের সৃষ্টি করা ওই মাছের ফিলে দিয়ে রাঁধতে পারবেন দারুন সব পদ। আধুনিক বিজ্ঞানের দৌলতে এমনভাবেই মাছ খেতে পারেন আগামী দিনে। এতক্ষণে মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, এই মাছ ‘ছাপানোর’ কায়দাটি কী? তার জন্যই তাকাতে হবে বিজ্ঞানের নয়া আবিষ্কার থ্রিডি প্রিন্টের দিকে।
আরও পড়ুন: মৌমাছি থামিয়ে দিল বিমান, চার ঘণ্টা উড়তেই পারল না! দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: রোজ ডিম মাছ মাংস না খেলে হয় না? অতিরিক্ত প্রোটিন খেয়ে কোন বিপদ ডাকছেন জানেন
বিজ্ঞানীদের দাবি, গবেষণাগারে বিশেষ কায়দায় তৈরি এই মাছ একবার খেলে আসল মাছের মতোই লাগে। শুধু তাই নয় চমৎকার এর স্বাদ, মুখে দিলেই যেন গলে যায়। এতে ক্রমশ কমে আসা মাছের জনসংখ্যার উপর নতুন করে চাপ পড়ে না। বরং সেসব ছাড়াই এই ফিলেটগুলি তৈরি করেন বিজ্ঞানীর দল। ল্যাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনেই একেবারে আসল মাছের কোষ তৈরি হয়। সেগুলিই প্রতিপালন করে বাড়ানো হয়। এই কোষ দিয়েই তৈরি হচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টিং মেশিনের বিশেষ জৈব কালি। কালি ভরলেই বেরিয়ে মেশিন থেকে ছেপে বেরিয়ে আসবে আপনার প্রিয় মাছের ফিলেটটি। এই জৈব কালিটি জেলের মতো হয়। তবে এর মধ্যে কিছু উদ্ভিজ্জ উপকরণও ব্যবহার করা হয়।
কয়েক মাসের মধ্যে, ইজরায়েলের সংস্থা স্টেকহোল্ডার ফুডস তাদের এই নয়া খাবার বাজারে আনবে বলে আশা করছে। অন্যদিকে তাদের তরফে চেষ্টা থাকছে 'বিশ্ব-মানের' মাছ বানানোর। এতে সবাই ‘ছাপানো’ মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। স্টেকহোল্ডার ফুডসের সঙ্গে এই গবেষণায় অংশাদারিত্ব ছিল উমামি মিটসের। উমামি মিটসের সিইও মিহির পারশাদ বলেন, স্টেকহোল্ডার ফুডসের সঙ্গে যৌথভাবে সুস্বাদু মাছের ফিলে বানাতে পেরে তারা সত্যিই গর্বিত। এই ছাপানো মাছের বাজার নিয়েও বেশ আশাবাদী দুই সংস্থার কর্তারা। আপাতত নয়া আবিষ্কৃত মাছটি মাছের বাজারে আসার অপেক্ষা!