পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমানোর জন্য নানা মানুষ নানা ধরনের পদ্ধতির সাহায্য় নেন। তার মধ্যে হালে জনপ্রিয় হয়েছে নতুন এক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ওজন বা পেটের মেদ কমানোর জন্য অনেকেই ব্যবহার করছেন ব্যথা কমানোর বাম এবং প্লাস্টিক।
কীভাবে এই পদ্ধতিতে ওজন কমানোর কথা বলা হচ্ছে?
যাঁরা এই পরামর্শটি দিচ্ছেন, তাঁরা বলছেন, রাতে পেটে বা ভুঁড়িতে ব্যথার বাম মাখাতে। তার পরে সেই বাম মাথানো ত্বকের উপর প্লাস্টিক জড়িয়ে দিতে বলছেন তাঁরা। এর পরে ওই অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়তে। তাতেই নাকি কমবে ওজন।
হালে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে লাইভস্ট্রং নামক জার্নালে। সেখানেই বলা হয়েছে, হালে এই পদ্ধতিটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু শেষ সেখানেই নয়। এটি আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর? দেখে নেওয়া যাক, কী বলছে গবেষণা?
এতে আদৌ কি মেদ কমে?
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক, এতে আদৌ মেদ কমে কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে সরাসরি মেদ কমে না। যেটা হয়, প্রচুর পরিমাণে ঘাম বেরিয়ে যাওয়ার কারণে শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। তাতে আপাতভাবে মনে হয়, ওজন বা মেদ কমেছে। কিন্তু বিষয়টি সুদূরপ্রসারীভাবে মেদ কমায় না।
এই পদ্ধতি কতটা নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদ্ধতি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ এতে পেটের উত্তাপ বেড়ে যায়। তাতে মেদ গলতে পারে ঠিকই। কিন্তু এর ফলে অন্ত্রের আশপাশে যে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি রয়েছে, সেগুলির উত্তাপ বেড়ে যেতে পারে। ফলে সেগুলির ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে ঘুমোনোর সময়ে যদি কেউ পেটে বাম জাতীয় মলম মেখে প্লাস্টিক জড়িয়ে রাখেন তাই এই সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।