গত তিন বছর ধরে কোভিডের আক্রমণ সারা বিশ্বকেই কাবু করে ফেলেছে। পৃথিবী জুড়ে একটি মারণ রোগের কবলে প্রাণ হারাতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। অনেকেই তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই। তবে এই বিশ্ব জোড়া মারণ রোগ আমাদের অনেক নতুন কিছু শিখিয়েছে। বিপদের সময় মন শক্ত রাখা, বিজ্ঞানে ভরসা রাখার পাশাপাশি চিকিৎসা সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে সাহায্য করেছে কোভিড। বিশেষজ্ঞদের কথায়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেকটাই শোচনীয় ও দুর্বল। তাই এই দেশগুলিতে রোগ প্রতিরোধে চিকিৎসা ব্যবস্থার বদলে সাধারণ মানুষের ভূমিকাই বেশি। তাদের সচেতনতা ও সতর্কতাই প্রধানত রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে এমনিতেও মানুষের সচেতন হওয়া জরুরি। প্রাথমিক অবস্থাতেই প্রতিরোধ করা গেলে রোগটি মারাত্মক আকার নেয় না। বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রতিবছরই আমরা নতুন কিছু শিখি। গত তিন বছরই আমরা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেক কিছু শিখেছি। এই বছরও তেমনই শেষ হওয়ার আগে আমাদের বেশ কয়েকটি নতুন জিনিস শিখিয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, বছর শেষের নতুন কী কী আমরা শিখে নিলাম ২০২২-এর থেকে।
হাত ধোয়া: কোভিডের পর থেকে যে যে ব্যাপারগুলি আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তার মধ্যে হাত ধোয়া প্রধান। শুধুমাত্র হাত না ধোয়ার কারণে একজন মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন। এছাড়াও অনেক সংক্রমক ব্যাধিও মারাত্মক আকার নিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, কোভিড শুধু নয়, এমন আরও রোগ ছড়াতে পারে আমাদের অসাবধানী মানসিকতার জন্য। তাই বাইরে থেকে ফিরে ঘরের কোনও কাজে হাত দেওয়ার আগে ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
মাস্ক পরা: বাইরে বেরোনোর সময় নিয়মিত মাস্ক পরা জরুরি। এতে কোভিডের মতো সংক্রমক রোগের থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। চিকিৎসকদের কথায়, একটি সাধারণ মাস্ক অনেক মারণরোগ এড়াতে পারে। সম্প্রতি চিনে বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতির সংক্রমণ। সামান্য মাস্ক ও কয়েকটি স্বচ্ছতার কথা মনে রেখে চললে সহজেই অতিসংক্রমক রোগও এড়ানো যায়।
নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। ঘরের মধ্যেই ২০ মিনিট সহজ কিছু ব্যায়াম করলে শরীর অনেকটাই ভালো থাকে। ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যায়াম খুব জরুরি। এছাড়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে বেশ কয়েকটি রোগ এড়ানো সম্ভব।