হার্ট অ্যাটাক এখন জল ভাত হয়ে গিয়েছে। এই রোগ যে কেবল বয়স্কদের হতো এই ধারণাও পাল্টেছে। এখন অল্প বয়সীদের মধ্যেও এখন হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। দেশ বিদেশের একাধিক গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে আসছে। আর যাঁদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, তাঁদের খুবই সতর্ক থাকা উচিত। একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করে বাঁচা উচিত। মেনে চলা উচিত কঠোর নিয়ম। সঠিক জীবনযাপন প্রয়োজন। কোনও বদ অভ্যাস থেকে থাকলে সেটার বদল আনাও জরুরি।
আপনার কি ইতিমধ্যেই একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে? কীভাবে নিজেকে ভালো রাখবেন, জীবন যাপনে কোন কোন পরিবর্তন আনতে হবে দেখে নিন।
১. ঘড়ির কাঁটা বেঁধে সমস্ত কাজ করুন। কখন ঘুমাবেন কখন খাবেন সব ঠিক করে নিন। রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। ৮-৯ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমান। সঠিক ঘুমানোর অভ্যাস রাখুন। অনেক রাত অবধি জেগে থাকবেন না। ৮ ঘণ্টা ঘুমের সঙ্গে নজর দিন কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন সেটারও।
২. রোজ শরীর চর্চা করুন। সেটা নিয়মিত হাঁটা হতে পারে, যোগব্যায়াম হতে পারে, কিংবা মেডিটেশন। তবে এমন কিছু করবেন না যা আপনার ক্ষমতার বাইরে। যতটা পারবেন ঠিক ততটুকুই শরীর চর্চা করুন।
৩. খাবার দাবারের দিকে নজর দিন। অতিরিক্ত তেল ঝাল খাবেন না। মশলা দেওয়া খাবার, ফাস্ট ফুড এগুলোকে চলুন। মদ্যপান এবং ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। সঠিক সময় ওষুধ খান। অকারণ চাপ নেবেন। স্ট্রেস ফ্রি থাকার চেষ্টা করুন। মেপে নুন খান। কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা দ্রুত ত্যাগ করুন।
৪. মানসিক চাপ বা অবসাদ মনে পুষে রাখবেন না। দূর করুন এগুলো নইলে অজান্তেই বিপদে পড়তে পারেন।
৫. ওজন কমান। ওজন যত বাড়বে সেটা ততই বুকে চাপ দেবে। এবং হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। সঠিক ডায়েট মেনে চললে আর নিয়মিত শরীর চর্চা করলে ওজন নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে না।
ফলে একবার যদি আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়ে থাকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন, সঙ্গে এগুলো মনে রাখুন। জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে অনেকটাই ভালো থাকা যায়।