সম্প্রতি নতুন ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি বেশ কিছু তরুণ পেশাদারকে নিয়ে গবেষণা করেছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেইসব তরুণ পেশাদারদের অধিকাংশই কর্মজীবনের নানা সমস্যার কারণে অবসাদে ভুগছেন।অত্যাধিক কাজের চাপ, কাজের নির্দিষ্ট সময় না থাকা ও ব্যক্তিগত জীবনে সময় বের করতে না পারার ফলেই তরুণ প্রজন্মের পেশাদাররা এই ধরনের সমস্যার শিকার হচ্ছেন বলে মনে করেন সমীক্ষকরা।
সেই সব পেশাদারদের অনেকেই বলেছেন, তাঁদের কাজের মধ্যে কোনও বৈচিত্র নেই। কাজের সময়েরও কোনও ঠিক নেই। এছাড়া আছে আর্থিক জীবনে চরম অনিশ্চয়তা। এইসব কারণে খুব দ্রুত কাজের প্রতি বিরক্তি চলে আসছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তরুণ পেশাদারদের মধ্যে ৫৮ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের কর্মজীবনে অখুশি। কিন্তু মধ্যবয়স্ক পেশাদারদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা তাদের কর্মজীবনে অখুশি।
মনোবিদদের মতে পেশা জীবনে প্রবেশ করার আগে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৃথিবীটা থাকে অনেকটা স্বপ্নের মতো। কর্মজীবনে প্রবেশ করে নানা বাস্তব সমস্যা সেই স্বপ্নময় মানসিকতাকে যখন আঘাত করে, অনেকেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।গবেষকরা বলছেন সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় দেওয়াও এই সমস্যার জন্য দায়ী।
সমীক্ষকদের অধিকাংশ একটি বিষয়ে একমত। তা হল করোনা অতিমারির ফলে ঘরে বসে কাজ করার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এই প্রবনতার ফলে সমাজ জীবনে যে জনসংযোগের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে, এইসব পরিসংখ্যান তারই প্রতিফলন।