এখন যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তাতে কোনও রোগই বয়স মানে না। পরিবেশ দূষণের কারণে জন্ম থেকেই একের পর এক রোগে জর্জরিত হয়ে থাকে মানুষ। তেমন একটি সমস্যা হলো হৃদরোগ। আপনার ঘরের ছোট্ট শিশুটি যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সেটি বুঝবেন এই লক্ষণগুলি দেখলেই।
হৃদরোগ সম্পর্কে সমস্ত সচেতনতা মাথায় রাখতে হবে অভিভাবকদের। শিশুদের খাদ্যের ধরন, অতিরিক্ত চর্বি জমার ধরন এবং সক্রিয় জীবনধারা দেখে বোঝা যায় সেই শিশুটির হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা। আপনার শিশু যদি অতিরিক্ত স্থুল হয়ে যায়, বুকে ব্যথা বা বুক ধরফর করে, পা অথবা গোড়ালি ফুলে যায়, স্বাভাবিক কাজকর্ম করার সময় নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হয় অথবা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে তার হৃদরোগের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
(আরও পড়ুন: কেন কোলেস্টেরলকে বলা হয় নীরব ঘাতক? চিনে নিন এর লুকিয়ে থাকা লক্ষণগুলি)
এইচটি লাইফ স্টাইলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার লক্ষ্মী মেনন বলেন, একটি শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। যদি সম্ভব হয় এক বছর পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন একটি শিশুকে। একটি শিশু যদি না খেতে চায়, তাহলে কোনও ভাবেই তাকে জোর করা উচিত নয়। পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া এবং উপযুক্ত পরিমাণের খাবারের ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে অভিভাবকদের।
হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই ৫ ক্যাটাগরির খাবার অবশ্যই দিতে হবে শিশুদের
সম্পূর্ণ শস্য: গম, চাল, ভুট্টা এবং বাজরারর মতো গোটা শস্য দিতে হবে শিশুদের।
শাকসবজি: প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই রাখতে হবে শাকসবজিকে। আপনার শিশু যে শাক খেতে ভালোবাসে, সেটাই রাখতে পারেন প্লেটে।
ফল: ঋতু অনুযায়ী অন্ততপক্ষে দুই ধরনের ফল অবশ্যই খাওয়ানো উচিত শিশুদের।
(আরও পড়ুন: স্যালাডও কিন্তু হতে পারে সুস্বাদু! কীভাবে? শিখিয়ে দিলেন স্বয়ং আলিয়া ভাট)
দুধ: দুধ বা দুগ্ধজাত যে কোনও পণ্য যেমন ছানা, পনির, দই অবশ্যই দেওয়া উচিত শিশুদের।
প্রোটিন: প্রতিদিনের খাবারের প্লেটে অবশ্যই মাছ মাংস বা ডিম রাখতেই হবে। যদি আপনার সন্তান নিরামিষভোজী হয়, তাহলে দিতে পারেন ডাল অথবা মটরশুটি।