শীতে বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁদের সমস্যা সবথেকে বেশি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে আজ থেকেই ব্যবহার করুন বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েল।এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো। শুধু তাই নয়, এই তেলের আরও অনেক উপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নিন কেন শীতকালে ব্যবহার করবেন আমন্ড অয়েল?
1) বাদাম তেল ব্যবহার করলে চোখের নিচে তৈরি হওয়া ডার্ক সার্কেল একেবারে রিমুভ হয়ে যায়।ভালো ফল পেতে ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে এটি আপনার চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। ২ সপ্তাহের মধ্যে আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
২) আমন্ড অয়েল ট্যান দূর করতে সাহায্য করে। ট্যান থেকে মুক্তি পেতে একটি চামচে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল এবং সমপরিমাণ লেবুর রস এবং মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণটি যেখানে ট্যান পড়েছে সেই জায়গায় লাগান। কিছুদিন পর দেখবেন আপনার ত্বক থেকে কালোভাব দূর হয়ে গেছে।
(আরও পড়ুন: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ফাটল কীভাবে? দানা বাঁধছে বিতর্ক, বন্ধ থাকতে পারে মন্দির)
৩) বাদাম তেল ত্বকের ফুসকুড়ির সারাতেও সাহায্য করে। এই তেলের কোনও সাইড এফেক্ট নেই তাই নিশ্চিন্তে লাগাতে পারেন এটি।
৪) আমন্ড অয়েল একটি হালকা তেল, যা ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এটি ফাটা গোড়ালির সমস্যা দূর করে। গোড়ালি ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য সারারাত পায়ে লাগিয়ে রাখতে হবে এই তেল।
৫) আমন্ড অয়েল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ, তাই এটি স্ট্রেচ মার্ক কমাতেও সাহায্য করে। সামান্য বাদাম তেল নিয়ে যেখানে স্ট্রেচ মার্ক রয়েছে, সেই স্থানে লাগিয়ে মাসাজ করুন। কিছুদিন বাদেই দেখবেন, দাগ অনেকটা হাল্কা হয়ে গেছে।
(আরও পড়ুন: পুষ্টিকর খাবার খাইয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়েছেন ঋষভকে, ঠিক কী খাবার বানাতেন শেফ)
৬) শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা একটা বিরাট বড় সমস্যা।বাদাম তেল আপনার ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করতে পারে। এই তেল ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে এবং ঠোঁটের স্বাভাবিক রঙ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
৭) শীতে মুখ হয়ে যায় প্রাণহীন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে আমন্ড অয়েল লাগান। হাতে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল নিন এবং আপনার হাতের তালুর সাহায্যে সেটি ঘষে নিয়ে লাগিয়ে নিন সারা মুখে। দেখবেন আপনার ত্বক হয়ে উঠবে ঝকঝকে।