Updated: 20 Jun 2021, 08:15 PM IST
লেখক Rishav Roy
ইউরোর দ্বিতীয় রাউন্ডে বেশ কয়েকজন ফুটবলার ও কয়েকটি দল নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের ‘বড়’ দলগুলিকে সেয়ানে-সেয়ানে টক্কর দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আবার কারুর পারফরম্যান্স হতাশ করেছে দর্শকদের। এক নজরে দেখে নিন মেগা টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে নজর কাড়লেন কারা, কারাই বা করলেন হতাশ।
Top performer: Manuel Locatelli!
🔹 With two goals, 94% passing accuracy and six tackles, Manuel Locatelli's match-winning display for Italy against Switzerland was one of the standout statistical displays of Matchday 2 👏@FedExEurope | #EUROPZ | #EURO2020pic.twitter.com/Yr88ikWJFh
রবার্তো মানচিনির অধীনে ইতালির গাড়ি তড়তড়িয়ে এগোচ্ছে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তুরস্ককে ৩-০ গোলে পর্যদুস্ত করার পর, সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একই স্কোরলাইনে জয়লাভ করেন আজুরিরা। মজবুত ডিফেন্স, দক্ষ মিডফিল্ড এবং ফর্মে থাকা ফরোয়ার্ডদের মিশ্রণে নিজেদের ফেভারিটের তকমার প্রতি সুবিচার করতে সক্ষম হয়েছেন আজুরিরা।
4/12
তারকাখোচিত ফ্রান্স দলের মতান্তরে সবচেয়ে বড় তারকা তিনি। মাত্র ২২ বছর বয়সেই ফুটবলের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রদের অন্যতম। তবে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে হতাশই করলেন কিলিয়ান এমবাপে। নিজের উচ্চমান ও নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারায় হতাশ দেখায় এমবাপেকেও।
5/12
ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ১-০ জিতে শুরুটা মন্দ করেনি গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা। তবে নির্বিষ অ্যাটাক ও কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আবারও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড দলকে নিয়ে উঠতে শুরু করেছে হাজারো প্রশ্ন। প্রতিবেশী স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ে হ্যারি কেন থেকে, ফিল ফডেন, নজর কাড়তে ব্যর্থ সকলেই। এই রাউন্ডে ইংল্যান্ডের দলগত পারফরম্যান্স সবচেয়ে হতাশাজনক।
6/12
প্রথম ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপের গতির সামনে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল রবিন গোসেনসকে। তবে পর্তুগালের বিরুদ্ধে জার্মানির জয়ে নিজের জাত চেনালেন আটালান্টার ফুলব্যাক। বাঁ-দিকের উইং ধরে অনবরত তাঁর অ্যাটাকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় পর্তুগাল রক্ষণ। থমাস মুলার, টনি ক্রুসদের ভিড়ে সকলকে খানিকটা চমকে দিয়েই জার্মান দলের নায়ক তিনিই।
পর্তুগালের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের শেষ ছয় মিনিটে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল হাঙ্গেরির। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে তেমনটা হলনা। দুরন্ত দলগত সংমিশ্রণ ও হার না মানা অদম্য ইচ্ছাশক্তির জেরে তারকাখোচিত ফ্রান্স দলকে রুখে দিয়ে নিজেদের গৌরবের ইতিহাস বজায় রাখল ফেরেঙ্ক পুসকাসের দেশ। এর আগে হাঙ্গেরির ঘরের মাঠে আটটির মধ্যে মাত্র একটি জয় ছিল ফ্রান্সের দখলে। এবারও ১-১ গোল আটকে পড়লেন গ্রিজম্যান, এমপবাপেরা।
9/12
বেশিরভাগ সময়ই একক দক্ষতার গোল বাকি সকলকে ছাপিয়ে দর্শকদের নজর কেড়ে নেয়। lতবে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে বেলজিয়ামের দলগত প্রচেষ্টা করা দ্বিতীয় গোলই এই রাউন্ডের সেরা। গোলের পাশে কেভিন ডি'ব্রুইনের নাম লেখা থাকলেও তাঁর একক দক্ষতা নয়, বরং ইডেন হ্যাজার্ডের পাস, রোমেলু লুকাকুর শক্তি ও তাঁর নিখুঁত শট মিলেই এই দৃষ্টিনন্দন গোলটি হয়।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে গোলের সামনে প্রাচীর তৈরি করে দিতে সক্ষম হন হাঙ্গেরি তথা আরবি লাইপজিং গোলরক্ষক পিটার গুলাচি। তাঁর করা করিম বেঞ্জিমা এবং পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক দূরত্ব থেকে আন্তোয়া গ্রিজম্যানের জোড়া সেভই এই রাউন্ডের সেরা।