বাংলা নিউজ >
কথা ও কাহিনি >
EURO 2020: ‘ভিলেন’ এমবাপে, লো-কে বিদায়ী পুরস্কার দিতে ব্যর্থ জার্মানরা, একনজরে শেষ ষোলো
1/9
EURO 2020: ‘ভিলেন’ এমবাপে, লো-কে বিদায়ী পুরস্কার দিতে ব্যর্থ জার্মানরা, একনজরে শেষ ষোলো Updated: 30 Jun 2021, 08:49 PM IST
লেখক Rishav Roy
যে কোন টুর্নামেন্টেরই নকআউট পর্বে একাধারে রচিত হয় নতুন রূপকথার, আবার পতন ঘটে একাধিক তারকার। ইউরোর এবারের শেষ ষোলোতেও এর অন্যথা হল না। এই পর্ব যেমন দেখল এমবাপের মতো তারকার পতন, তেমনই ফিনিক্স পাখি হয়ে শিরোনাম কাড়লেন আলভারো মোরাতা, রূপকথার সৃষ্টি করল সুইস দল। এক নজরে দেখে নিন ইউরোর শেষ ষোলো।
2/9
সমালোচনার যোগ্য জবাব দেওয়া হয়তো একেই বলে। ক্রোয়শিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে সমর্থকদের তীব্র কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয় আলভারো মোরাতাকে। তবে গোটা ম্যাচ জুড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত সময়ে এক অসাধারণ গোল করে লা রোহার জয়ের নায়ক তিনিই এই রাউন্ডের সেরা পারফরমার।
3/9
তারকাখোচিত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স দলকে যে সুইজারল্যান্ড পরাস্ত করতে পারে, তা হয়তো সুইস দলের অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেননি। তবে ফুটবল তো বরাবরই রূপকথার জন্ম দেয়। হার না মনোভাব এবং দলগত পারফরম্যান্সের সুবাদে এমনই এক রূপকথার সৃষ্টি করলেন সুইস ফুটবলাররা। এই পর্বে তাঁদের থেকে ভাল হয়তোই কোন দল খেলতে পেরেছে।
4/9
সুইজারল্যান্ডের স্বপ্নের রাতে চুড়ান্ত হতাশা জুটল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কপালে। দলের তারকা কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি মিসে শেষ হল তাঁর দুঃস্বপ্নের এক ইউরো সফর। শুধু এই পর্ব নয়, বলতে গেলে গোটা টুর্নামেন্টেই তারকাদের সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের তালিকায় শীর্ষে থাকবে এমবাপের এই ম্যাচের পারফরম্যান্স।
5/9
পরপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েম্বলিতে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত ছিল জার্মানি। তবে অবশেষে কেন এবং স্টার্লিংয়ের গোলে সেই রেকর্ড ভাঙল। শক্তিশালী জার্মান দলকে কোন সময়ই ম্যাচের দখল নিতে দেখা যায়নি। এই পর্বে তাঁদের পারফরম্যান্স হয়তো থমাস মুলারের এই ছবিই সবচেয়ে ভাল প্রকাশ করে।
6/9
দুই টুর্নামেন্ট ফেভারিটের ম্যাচের ফয়সালা করতে হলে প্রয়োজন ছিল দর্শনীয় কোন মুহূর্তের। ম্যাচের ৪২ মিনিটে সেই মুহূর্তের রচনা করে বেলজিয়ামের থোরগান হ্যাজার্ডের ডান পা। অবিশ্বাস্য শটে বল জড়িয়ে দেন পর্তুগালের জালে। এই গোল এই পর্বের সেরা হওয়ার পাশাপাশি ইউরোর ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
8/9
বল পায়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছেন মালেন, সামনে শুধু চেক গোলরক্ষক থমাস ভ্যাসিলিক, স্কোর বোর্ডে নেদারল্যান্ডস দলের পাশে গোলসংখ্যা এক হল বলে। তার পরের কয়েক মিনিটে যা হল, তাতে পুরো খেলাই ঘুরে গেল। বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে, মালেনের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান চেক গোলরক্ষক। এর কয়েক মুহূর্ত পরেই ম্যাথিয়াস ডি'লিট লাল কার্ড দেখেন এবং তারপরের ঘটনা সকল ফুটবল অনুরাগীরই জানা। ম্য়াচের গুরুত্ব, সঠিক সিদ্ধান্ত এবং ভ্যাসিলিকের মাথা ঠান্ডা রেখে বল বাঁচানো, এই পর্বের সেরা সেভ বিচার করতে বসলে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না।