করোনা অতিমারীকে গুরুত্ব দিয়েও অর্থনৈতিক সংস্কারকেই পাখির চোখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সে কথাই ঘুরেফিরে স্পষ্ট হয়েছে।
বৈঠকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং দাবি করেন, রাজ্যের ঋণ নেওয়ার সীমা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হোক। বৈঠকে উপস্থিত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, অমরিন্দরের যুক্তি ছিল, কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে বাজার থেকে আরও বেশি অর্থ ঋণ নেওয়ার অনুমতি দিলেও তার জন্য বেশ কিছু সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, সংস্কার ও ঋণ সংক্রান্ত বিষয় একসূত্রে বাঁধা অনুচিত।
অমরিন্দরের দাবি সঙ্গে সঙ্গেই নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিষয়টিকে আত্মসম্মান কেন্দ্রিক না করতে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন। পরামর্শ দেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজ্য ও রাজ্যবাসীর স্বার্থে সংস্কারে মন দিন। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আনতে সদর্থক পরিবেশ তৈরি করুন।’
Covid-19 অতিমারীর জেরে ঘোষিত কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক প্যাকেজে রাজ্যের দাবি মেনে ঋণ নেওয়ার সীমা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের গড় আয়ের ৩% থেকে বাড়িয়ে ৫% করা হয়েছে। অতিরিক্ত ২% এর মধ্যে ১.৫ শতাংশ ধার্য হয়েছে ‘নির্দিষ্ট এবং হিসেবযোগ্য’ সংস্কারমূলক কাজের জন্য।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলিকে সঠিক পথে চালিত করার উদ্দেশেই সংস্কারে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। অগ্রগতির জন্য ক্রমাগত স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং আর্থিক বিকাশ করতে হবে বলেও জানান নমো। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার বাড়লেও অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উন্নতিসাধন করতে হবে।
কেন্দ্রের সংস্কার তালিকায় রয়েছে মলত চারটি ক্ষেত্র- গণবণ্টন প্রক্রিয়া সহজলভ্য করতে এক দেশ এক রেশন কার্ড নীতি চালু করা, ব্যবসায় আরও সুগম নীতি প্রণয়ন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা আরও সাবলীল করা এবং নগরোন্নয়ন সংস্থাগুলির আয় বৃদ্ধি।