চিনের থেকে ছটি প্লেন কিনেছিল নেপাল। কিন্তু সেগুলি গুনমানের দিক থেকে এতটাই খারাপ, সেই প্লেনগুলি আর না চালাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। এই নির্দেশ দিয়েছে নেপাল এয়ারলাইন্স করপোরেশন কারণ এই প্লেনগুলি চালিয়ে বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে। এই প্লেনগুলি হল ১৭ আসন বিশিষ্ট Y12e ও ৫৬ আসন বিশিষ্ট MA60.
বহুদিন ধরেই নেপাল চাইছিল চিন তাদের প্লেন গিফট করুক। কিন্তু চিন বলে সেটি হচ্ছে না। কয়েকটি প্লেন কিনলে কিছু উপহার মিলতে পারে। সেই মোতাবেক ছটি প্লেন কেনে নেপাল, সঙ্গে দুটি ফ্রি।
২০১৪ সালেই পুরো কেনাবেচার প্রক্রিয়া শেষ হয়। কিন্তু ছয় বছর পরে এবার বিমানগুলি বাতিল করছে নেপাল। নেপাল এয়ারলাইন্সের বোর্ডের সদস্য অচ্যূত পাহাড়ি কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেন যে এই প্লেনগুলি নেপালের জন্য ফিট না। তাও জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সংবাদপত্রটি জানিয়েছে যে বাংলাদেশ ও নেপালের পৃথক দুটি দল এই প্লেনগুলিকে দেখতে যায় ২০১১ সালে। বাংলাদেশ প্লেনগুলি নেয় নি, কিন্তু নেপাল নিতে রাজি হয়ে যায়। এটিকে সবচেয়ে খারাপ সিদ্ধান্ত মূলত কমিশন খাওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ পাহাড়ির।
গত বছর এক অডিট রিপোর্টে ধরা পড়েছে এই প্লেনগুলির ফলে বড় ক্ষতি হয়েছে নেপালের। ঠিকঠাক করে পাইলটদের প্রশিক্ষনও দেওয়া হয়নি প্লেনগুলি চালানোর জন্য।
নেপালের বিমান কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন ডিজি অবশ্য ম্যানেজমেন্টকে দুষেছেন। সঞ্জীব গৌতমের কথায় গত ছয় বছর ধরে একজনও ক্যাপ্টেন তৈরী হয়নি ও যারা প্রমোট হয়েছে ওই পদে তাদের এয়ারবাস জেট চালানোর কাজে লাগানো হয়েছে।