কয়েক ঘণ্টা আগেই সচিন পাইলটকে কার্যত ‘মিথ্যেবাদী’ বলেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অথচ সেই মুখ্যমন্ত্রীর দলের হাইকমান্ডের তরফে সুর নরম করে সচিনকে ‘নিজের বাড়ি’-তে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হল।
বুধবার সকালে সচিনের ‘বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি না’ মন্তব্যের পর গেহলট বলেন, ‘জয়পুরে ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমাদের লোকেদের ১০ দিনের জন্য হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেটা যদি না করতাম, তাহলে এখন মানেসরে (বিজেপি শাসিত হরিয়ানার একটি হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়করা রয়েছেন বলে খবর) যা হচ্ছে, তা তখনই হত।’
পাইলটকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি গেহলট। তিনি দাবি করেন, রাজনীতিতে ‘নয়া প্রজন্ম’-র ধৈর্য নেই। তাঁরা নিজেদের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন না। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমরা নয়া প্রজন্মকে ভালোবাসি, ভবিষ্যৎ তাঁদেরই হবে। এই নয়া প্রজন্ম, ওঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (পাইলট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন), রাজ্য সভাপতি হয়েছেন (সোমবার পর্যন্ত সেই পদেও ছিলেন পাইলট)। আমাদের সময় যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল, তা যদি ওঁদের হত, তাহলে বুঝতে পারতেন।’
অর্থাৎ বার্তাটা স্পষ্ট ছিল, পাইলট দলে ফিরলেও প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব কখনওই মিটবে না এবং রাজস্থান সংকটের জন্য দোষটা তাঁর প্রাক্তন ডেপুটির ঘাড়ে পড়ুক, সেটাই চাইছেন গেহলট। যদিও কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে সেই রাস্তায় হাঁটা হয়নি। বরং মঙ্গলবার যে কড়া সুরে জাতীয় মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা কথা বলেছিলেন, তার তুলনায় একেবারেই নমনীয় হয়ে বুধবার তিনি বলেন, ‘আমরা সচিন পাইলটের মন্তব্য দেখেছি যে উনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। আমি তাঁকে বলতে চাই, আপনি যদি সেটা না চান, তাহলে অবিলম্বে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকারের সুরক্ষা বেষ্টনী থেকে বেরিয়ে আসুন, ওঁদের সঙ্গে সব কথাবার্তা বন্ধ করে দিন এবং জয়পুরে নিজের বাড়িতে ফিরে আসুন।’