কংগ্রেসে সমস্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার দলের ছাত্র সংগঠন ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্টস’ ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া’ (NSUI)-এর সেক্রেটারি ইন-চার্জ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রুচি গুপ্তা। সাংগঠনিক পরিবর্তনে বিলম্বের কারণেই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন রুচি।
হিন্দুস্তান টাইমস-কে তিনি জানিয়েছেন, শুধিু পদই নয়, দল থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন রুচি। সাম্প্রতিক কালে অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং প্রবল বিক্ষোভে বিধ্বস্ত কংগ্রেস থেকে পর পর বেশ কিছু নেতা পদত্যাগ করলেন। এর উপরে, বিহার বিধানসভা নির্বাচন-সহ একাধিক ভোটের লড়াই পরাজয় শতাব্দীপ্রাচীন দলকে কোণঠাসা করে ফেলেছে।
শনিবার বিক্ষুব্ধ নেতা-সহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধী এবং নেতা রাহুল গান্ধীর। সেখানে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পথ নিরুপণে তাগিদে সর্বসম্মত চিন্তন শিবির আয়োজনের পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
রুচি গুপ্তা তাঁরপদ ও দল ছাড়ার দায় চাপিয়েছেন মূলত কংগ্রেস সাংগঠনিক সাধারণ সচিব কে সি বেণুগোপালের কাঁধে। রাহুল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বেণুগোপালকে দলের সাংগঠনিক পরিবর্তন বাস্তবায়িত করার পথে নিরন্তর বিলম্বের জন্য দায়ী করেছেন রুচি। বিষয়টি নিয়ে সব সময় দলের সভাপতি স্তরে অভিযোগ জানানো সম্ভব নয় বলেও তাঁর দাবি।
গতকাল হিন্দু সংবাদপত্রে তাঁৎ নিবন্ধে রুচি গুপ্তা লিখেছেন, দলের সাংগঠনিক দিক, তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং আগাগোড়া মজবুত নেতৃত্ব গড়ে তোলা আসু প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘শক্তিশালী ও দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সজাগ সভাপতি ছাড়া এর কোনওটাই করা সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলি, বিশেষত কংগ্রেস অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত দ্বন্দ্বে জর্জরিত। ক্ষমতার পথ অবারিত ও অবরুদ্ধ থাকা রাজনীতির বৈশিষ্ট। শীর্ষ নেতৃত্ব যথেষ্ট মজবুত না হলে দল দিগভ্রষ্ট হবেই।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই নেতৃত্ব দিতে পারেন একমাত্র রাহুল গান্ধী। এটা কোনও ভক্তিমূলক বিবৃতি নয়। দলে আর কোনও নেতার উত্থান হওয়ার থাকলে এতগুলি বছরে তার ইঙ্গিত পাওয়া যেত। পরিবর্তে দলের অন্দরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। চেষ্টা চলেছে শীর্ষ নেতৃত্বকে ক্ষমতাচ্যুত করার দলবিরোধী অভিসন্ধির। সাংগঠনিক ক্ষমতা একমাত্র রাহুল গান্ধীর মধ্যেই ন্যস্ত রয়েছে। কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে এই ক্ষমতা স্থাপন করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হওয়া উচিত।’