রাজ্য থেকে ভিক্ষাজীবী নির্মূল করতে নয়া উদ্যোগ নিল বিহার সরকার। ভিক্ষাবৃত্তি নিবারণ যোজনা প্রকল্পে ভিখারিদের সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতে বিকল্প জীবিকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
রাজ্যের হতদরিদ্র সমাজের কল্যাণসাধনে নিয়োজিত ‘সক্ষম’ প্রকল্পে ভিক্ষাজীবীদের বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগে উদ্যোগপতি অথবা প্রচার ব্যবস্থাপক হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে প্রশাসন।
প্রকল্পটির দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত রাজ্য থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা এবং দ্বিতীয়ত ভিখারিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১৮ জন ভিক্ষাজীবীকে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। পটনায় সক্ষম-এর দফতরে এই ১৮ জনকে মাথাপিছু ১০,০০০ টাকার চেক দেওয়া ছাড়াও আধার কার্ড ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সক্ষম-এর এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘এঁদের মধ্যে কেউ সবজি বিক্রির ব্যবসা করতে চাইছেন, কেউ বা অন্য কিছু পণ্য বিক্রির কারবারে আগ্রহী।’ তাঁর দাবি, আপাতত পটনার ১০০ জন ভিক্ষাজীবীকে আর্থিক সহায়তার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ভারতের ১০টি শহরে ভিক্ষাবৃত্তি নিবারণ যোজনা চালু করতে সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সামাজিক বিচার ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রক। পটনা ছাড়াও প্রকল্পে শামিল করা হয়েছে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, লখনউ, ইন্দোর, নাগপুর, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু শহর। বিহারে প্রকল্প বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব বর্তেছে সক্ষম-এর উপরে।
সরকারি প্রকল্পে ভিক্ষাজীবীদের নিজেদের পরিবারে ফিরে যাওয়ার বিকল্প প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা তাতে আগ্রহী নন, তাঁদের সরকারি আশ্রয় শিবিরে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। তাঁদের ছোট ব্যবসা শুরু করার এবং বিপণনের তালিম দেওয়া হচ্ছে।
বিহারের মোট ১২টি জেলায় এই প্রকল্প চালু হয়েছে। তালিকায় রয়েছে পটনা, মুজাফ্ফরপুর, দারভাঙ্গা, গয়া, পূর্ণিয়া, নালন্দা, রোহতাস, কাটিহার, ভাগলপুর, সারন, আরারিয়া এবং বৈশালী।
রাজ্যের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বিহারকে ভিখারিহীন করার পরিকল্পনা করেছে নীতীশ কুমার সরকার।