বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কৃষি আইন তোলার দাবিতে কোবিন্দকে স্মারকলিপি কংগ্রেসের, আটক প্রিয়াঙ্কা

কৃষি আইন তোলার দাবিতে কোবিন্দকে স্মারকলিপি কংগ্রেসের, আটক প্রিয়াঙ্কা

রাহুল গান্ধী। (ছবি সৌজন্য পিটিআই)

রাহুল অভিযোগ করেন, ‘নিজের অন্তরঙ্গ পুঁজিবাদী বন্ধুদের থেকে টাকা কামাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।' 

বড়সড় অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সেইসব এড়িয়েই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তিনটি ‘কৃষক-বিরোধী, কৃষি-বিরোধী, গরিব-বিরোধী এবং কালা’ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানাল কংগ্রেস। একইসঙ্গে ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ নরেন্দ্র মোদী সরকার কৃষকদর কষ্টের কথা শুনতে রাজি না হওয়ার অভিযোগ তুলে সংসদের যুগ্ম অধিবেশন ডেকে তিনটি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।

গত তিন মাসে নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জোগাড় করা দু'কোটি স্বাক্ষর-সহ রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল। যে দলে ছিলেন সাংসদ রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং রাজ্যসভার সাংসদ গুলাম বনি আজাদ। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান সরকারকে দেখে মনে হচ্ছে, ৬২ কোটি কৃষক এবং কৃষিশ্রমিকের জীবন জলাঞ্জলি দিয়ে তারা শুধু কয়েকজন কাছের পুঁজিপতি বন্ধুর স্বার্থে কাজ করছে।’ 

তার আগে অবশ্য কংগ্রেসের সেই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবন এবং নয়াদিল্লির ২৪ নম্বর আকবর রোডে কংগ্রেসের কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। শুধুমাত্র যে নেতাদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি ছিল, তাঁদের যেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে জানিয়েছিল পুলিশ। তবে তা উপেক্ষা করেই রাষ্ট্রপতি ভবনের উদ্দেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের নেতারা। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। কংগ্রেসের দফতরের বাইরে তাঁরা ধরনায় বসেন। কিন্তু বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে পরে প্রিয়াঙ্কা-সহ কংগ্রেস নেতাদের আটক করা হয়।  

সেই পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন রাহুলরা। রাইসিনা হিলস থেকে বেরিয়ে রাহুল বলেন, ‘প্রবল ঠান্ডা সত্ত্বেও সমস্ত কষ্ট উপেক্ষা করে গত ২৯ দিন ধরে লাখ লাখ কৃষক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ৪৪ জন অন্নদাতা প্রাণ হারিয়েছেন। তা সত্ত্বেও স্বৈরতান্ত্রিক মোদী সরকার তাঁদের বেদনা, যন্ত্রণা শুনতে চাইছে না।’ কংগ্রেসের অভিযোগ, যদি তিনটি আইন প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে ভুগবেন দেশবাসী। একইসঙ্গে মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাহুল বলেন, ‘নিজের অন্তরঙ্গ পুঁজিবাদী বন্ধুদের থেকে টাকা কামাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর বিরুদ্ধে যে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন, তাঁকে জঙ্গি বলা হবে। সে কৃষক হোক, শ্রমিক হোক। এমনকী মোহন ভাগবতও (আরএসএস প্রধান) যদি তাঁর (মোদী) বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তাহলে তাঁকেও জঙ্গি বলা হবে। যে কেউ তাঁর (মোদী) থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, তাঁকেই দেশবিরোধীর তকমা দেওয়া হচ্ছে।’

বন্ধ করুন