জঙ্গলে শিকারে গিয়ে আচমকাই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের।গোটা ঘটনায় মর্মাহত যুবকের তিন সঙ্গীও বিষ খেষে আত্মঘাতী হয়েছেন।এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের চোলাহ টক জঙ্গলে।গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত যুবকদের পরিবারে।
উত্তরাখণ্ডের ঘানশালি থানার ইনচার্জ কুলদীপ শাহ জানান, তেহরি জেলার ভিলানগানা ব্লকের কুণ্ডি গ্রাম থেকে সাত জন যুবক চোলাহ টকের জঙ্গলে শিকারে এসেছিল।তাদের সকলের বয়সই ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।পাখি শিকারী এসে একজনের রাইফেল থেকে আচমকাই গুলি বেরিয়ে যায়।গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সন্তোষ পানওয়ার নামে ১৯ বছরের এক যুবকের।
ঘানশালির মহকুমা শাসক পি আর চৌহান জানান, জানা গিয়েছে, ওদের মধ্যে একজন রাজীব সিং নামে এক যুবক টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায়।তখনই রাজীবের বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে যায় ও সন্তোষের গায়ে লাগে।মহকুমা শাসক জানান, ঘটনাস্থলেই সন্তোষের মৃত্যু হয়।এরপর সন্তোষের নিথর দেহ বন্ধুরা মিলে জঙ্গল থেকে বের করে নিয়ে এসে কাছেই গ্রামের একটি গোয়ালঘরে রাখা হয়।এরপর বাকিরা সকলেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন।কারোর মধ্যে অনুশোচনা বোধও কাজ করতে থাকে।সেই থেকেই সন্তোষের তিন বন্ধু অর্জুন সিং, পঙ্কজ সিং ও সোবন সিং বিষ খায়।তাদের কাছেই একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যার বন্দুক থেকে গুলি ছুটেছিল, সেই রাজীব সিংকে পাওয়া যাচ্ছে না।পুলিশ জানতে পেরেছে, রাইফেলটি রাজীবের বা তাঁর বাবা কারোর নয়।পুলিশ রাজীবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চলেছে।পাশাপাশি যে দুজন ফিরে এসেছে, রাহুল ও সুমিতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।