২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১,৯৫৯ ডলার। তবে সেখান থেকে অনেকটাই পতন হয়েছিল সোনার দাম। ৮ মার্চ সোনার আউন্স প্রতি দাম কমে দাঁড়ায় ১,৬৭৬.০১ ডলার।
পাশাপাশি মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জেও গত দুই-তিন মাসে সোনার দাম বিশাল পতন দেখেছে। ৬ জানুয়ারি এমসিএক্স-এ সোনার দাম ছিল ১০ গ্রাম প্রতি ৫১ হাজার ৮৭৫। ২৯ মার্চ সেই দাম গিয়ে দাঁড়ায় ১০ গ্রাম প্রতি ৪৩ হাজার ৩২০ টাকা।
তবে সেই পতন থেকে ফের এখবার ১১ শতাংশ বেড়েছে সোনার দাম। ডলারের দাম ৩.৬ শতাংশ কমায় ফিউচারেও সোনার দাম ৪ শতাংশ বেড়েছে। গত ২২ এপ্রিল ২৪ ক্যারেট পাকা সোনার দাম দু'মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। তবে সেখান থেকে সেনার দাম সপ্তাহান্তে কিছুটা পড়ে যায়।
এদিকে সোনার দামের সঙ্গে ১০ বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দামের সম্পর্ক বিপরীত। এই আবহে দেখা গিয়েছে ১০ বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দাম গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে। এর অর্থ, খোলা বাজারের উপর বিনিয়োকারীদের ভরসা কমছে। আর তাই চাহিদা বাড়ছে বন্দের। এই আবহে সোনার দাম কমার কথা। আর তাই আশঙ্কা বাড়ছে সোনায় বিনিয়োগ করা মানুষদের মনে। প্রশ্ন উঠছে করোনা আবহে ধাক্কা খাওয়া অর্থনীতিতে কোথায় গিয়ে ঠেকবে সোনার দাম?
এদিকে করোনা আবহে মার্কিন অর্থনীতিতে স্টিমুলাস দেওয়া হয়েছে। যার ফলে নগদ প্রবাহ ভালো। এর ফলে সোনা বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তাই আউন্স প্রতি সোনার দাম ১৯০০ ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এমসিএক্স গোল্ড ফিউচারসও ৫০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।