আগামী ১ মে থেকে সারা দেশে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।ভ্যাকসিন দেওয়ার এই তৃতীয় পর্যায়ে রাজ্যগুলি কি আদৌও তৈরি? এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বিভিন্ন রাজ্য। কিছু রাজ্য যেমন ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়ে দিয়েছে, সেখানে বেশ কিছু রাজ্য অবশ্য ভ্যাকসিন দেওয়ার এই তৃতীয় পর্যায় শুরু করতে তৈরি। তবে তাদের বক্তব্য, হাতে থাকা স্টক থেকেই তৃতীয় প্রক্রিয়া তাদের শুরু করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলকে ১৫ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ১৪০ ডোজ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৪২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৪টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার তৃতীয় পর্যায় শুরু করতে চলেছে প্রশাসন। কিন্তু দেশে যে ভ্যাকসিনের স্টক রয়েছে, তা দিয়ে কি এত বিশাল সংখ্যক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব? ইতিমধ্যে রাজস্থান, পঞ্জাবের মতো রাজ্য তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছে।অন্যদিকে অবশ্য দিল্লি, কর্নাটক, তামিলনাডু জানিয়েছে, রাজ্যে যত স্টক আছে, তা দিয়েই তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া চালানো হবে।
সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ১ কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬টি ডোজ রয়েছে। আগামিদিনে আরও ৯৭ লাখ ৫ হাজার ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত এলাকায় আসার কথা। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মতো করোনা বিধ্বস্ত রাজ্যে ১২ লাখ ১৮ হাজার ৮০টি ভ্যাকসিনের স্টক আছে। আরও ৩ লাখ ভ্যাকসিন আসার কথা।কিন্তু এই ভ্যাকসিন এলেও কী ১৮ বছরের বেশি এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কম, বেশি একই অবস্থা দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, কর্নাটক, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে।