১ এপ্রিল থেকে দিল্লি হাসপাতালগুলিতে এখন কত রোগী ভর্তি আছেন, কতজনকেই বা এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে, এইরকম করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নানা তথ্য এবার জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্ট।একইসঙ্গে সব হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট থাকা জরুরি বলেও পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাই কোর্টের।আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দিল্লি সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।একই সঙ্গে এদিন আদালতের তরফে দিল্লি সরকারকে তাদের পোর্টাল আপডেটের বিষয়টিকেও জোর দিতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, দিল্লি সরকারের এই পোর্টালের মাধ্যমে প্রতিদিন হাসপাতালে কতজন রোগী ভর্তি হচ্ছেন, সেই বিষয়টি যেমন জানা যায়, তেমনি কত মানুষ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়।
এদিন বিচারপতি বিপিন সাংঘি ও বিচারপতি রেখা পাল্লির ডিভিশন বেঞ্চ জানান, হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট থাকা খুবই প্রয়োজনীয়।অনেক হাসপাতালই নিজেদের খরচের বহর কমাতে অক্সিজেন প্লান্ট রাখে না।কিন্তু তাদের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ও হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট রাখা উচিত।
অক্সিজেনের সংকট ও অন্যান্য কোভিড সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে দিল্লির বেশ কয়েকটি হাসপাতালের তরফে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।এদিন ছুটি থাকা সত্বেও আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই এদিন আদালতের তরফে এই কথা জানানো হয়।শুনানিপ সময়ে বাতরা হাসপাতালের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানান, হাসপাতালে দেড় ঘণ্টা অক্সিজেনের কোনও জোগান ছিল না। সেজন্য এক চিকিৎসক সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।এই কথা শোনার পর আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ, হয়ত হাসপাতালই এই মানুষগুলির প্রাণ বাঁচাতে পারত।আমরা জানি, সবাই আমরা বেশি লাভ করতে চাই।কিন্তু হাসপাতালে যদি ১০টি ঘর কম করে অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা যেত, তাহলে তা আরো উপকারে দিত।