সোশ্যাল মিডিয়ায় রোগ, পুষ্টি এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার করেন সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিভেকর। সম্প্রতি মৌসুমী ফল আতা, ইংরাজীতে যাকে কাস্টার্ড অ্যাপেল বলা হয়, সেই সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল ধারণা দূর করলেন তিনি।
আতা যে বেশ সুস্বাদু, তাই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এর পুষ্টিগুণও দারুণ। ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ফ্লেভোনয়েডে ভরপুর আতা। তবে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা পিসিওডির মতো কিছু অসুস্থতার ক্ষেত্রে অনেকেরই বিভিন্ন ফল খাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ রয়েছে। সেই নিয়েই কী জানালেন পুষ্টিবিদ?
আতা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য লো GI (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) খাবার হিসেবে ভাল বলে বিবেচিত হয়। অর্থাত্ এটি এক ধাক্কায় আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। বরং বেশ কিছু সময় ধরে ধীরে ধীরে পাচন হয়। এতে দেহে শর্করার জোগান ও শক্তি অনেকক্ষণ থাকে। এছাড়া এতে ম্যাঙ্গানিজ এবং ভিটামিন সি রয়েছে যা হৃদরোগ এবং রক্ত সংবহনের উপর বার্ধক্য বিরোধী প্রভাব ফেলে।
আতা বা সীতাফল আলসার নিরাময় করে এবং অ্যাসিডিটি রোধ করে। এতে বিভিন্ন জরুরী মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে। আতার ভিটামিন সি এবং রিবোফ্লাভিন চোখের জন্য উপকারি। গবেষণা বলছে, ফ্ল্যাভোনয়েড নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার এবং টিউমারের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে। সেই ফ্ল্যাভোনয়েডও পাবেন আতায়।
আতা এইচবি মাত্রা উন্নত করে এবং এতে ডায়াবেটিস বিরোধী এবং ক্যান্সার বিরোধী গুণ রয়েছে।
আতা আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ উপশম করতেও সাহায্য করতে পারে। কারণ ম্যাগনেসিয়াম বেশি থাকায় এটি শরীরে জলের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জয়েন্ট থেকে অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স মস্তিষ্ককে শান্ত করা, বিরক্তি, উত্তেজনা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিচিত।
দেখুন আতা নিয়ে পুষ্টিবিদের পোস্ট:
তাহলে আতার উপকারিতা জানলেন তো? তাহলে এবার থেকে ফলের দোকানে গেলে মাঝে মাঝে ১-২টো আতাও কিনবেন। উপকারে ভরপুর এই অতি পরিচিত দেশি ফল।