কোনও বই পড়ার মধ্যে যে আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে তার স্বাদ আরও ছড়িয়ে দিতে এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে নয়া উদ্যোগ চালু হল 'পড়ে ভারত' কে ঘিরে। ১০০ দিনের পড়ার প্রচারধর্মী এই উদ্যোগে মূলত শিশুদের আরও বেশি বাইকে উপভোগ করার জন্য উৎসাহিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোনও কিছু পড়লে, তা থেকে যে জ্ঞান আহরণ হয়, বা তার পরতে পরতে যে আগ্রহ লেগে থাকে, তা আজকের প্রজন্মের শিশুরা যাতে উপভোগ করতে পারে, সেটাই এই উদ্যোগের আসল উদ্দেশ্য।
২০২২ লারে প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই 'রিডিং ক্যাম্পেন' এর উদ্বোধন করেন। 'পড়ে ভারত' নামের এই প্রচারে পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও উৎসহা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রক মনে করছে, এই উদ্যোগে, মত প্রকাশ করে কিছু বলা বা লেখার ক্ষমতাও বাড়বে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য এই উদ্যোগ ফোকাস রাখছে। আজীবন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিশুদের যে পাঠের বিকাশ করতে হবে তার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে শনিবার নিজের বক্তব্য পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এক টুইটে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী লেখেন, 'বই পড়া খুবই ভালো অভ্যাস। এটি জ্ঞান, ভাষা ও সামাজিক দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রে একটি ভালো পথ। নাগরিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিয়মিত বই পড়ার আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।' একই সঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধান লেখেন,'পড়া হল শিক্ষার ভিত্তি, যা শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে বই পড়তে অনুপ্রাণিত করে, সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শব্দভান্ডার এবং মৌখিক এবং লিখিতভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা বিকাশ করে।' এর সঙ্গেই তিনি লেখেন,' এটি শিশুদের তাদের পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং বাস্তব জীবনের পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত হতে সাহায্য করে।' এই বার্তার সঙ্গেই ধর্মেন্দ্র প্রধান ৫ টি বইয়ের নাম প্রকাশ করেন যা তিনি পড়বেন বলে ঠিক করেছেন।
১০০ দিনের পড়াশোনাকে কেন্দ্র করে এই প্রচার ১৪ সপ্তাহের জন্য চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। যাতে পড়ার অভ্যাসকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সপ্তাহে এক একটি করে গ্রুপ তৈরি করে এই ১০০ দিনের বিশেষ পাঠ প্রক্রিয়া চলবে বলে জানা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। পড়ে ভারত অভিযানের অংশ হিসাবে, সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে পঠন অভিযানের একটি বিস্তৃত নির্দেশিকাও ভাগ করেছে।