ভারত থেকে ফ্রাঙ্কফার্টে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার সময় পাকিস্তানের থেকে প্রশংসা পেলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটরা। ত্রাণসামগ্রী ও ভারতে আটকে থাকা বেশ কিছু ইউরোপীয়কে নিয়ে যাওয়ার সময় এই অপ্রত্যাশিত প্রশংসা পান পাইলটরা।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে এক বরিষ্ঠ ক্যাপ্টেন জানিয়েছেন যে পাকিস্তানে এয়ারস্পেসে প্রবেশ করা মাত্র তাদের আসসালাম ওয়ালেকুম বলে সম্বোধন করে ওই দেশের Air Traffic Controller (ATC)। এরপর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় যে তাঁরা ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন কিনা। ইতিবাচক উত্তর পেয়ে কোনও বিলম্ব না করে তাদের ফ্লাইটকে রাস্তা দেখিয়ে দেয় পাক এটিসি। এরপর পাকিস্তানের সেই এটিসি বলেন যে মহামারির সময় যেভাবে আপনারা প্লেন চালাচ্ছেন, তাতে আমরা গর্বিত। আপনাদের শুভ হোক, এই বার্তাও দেন তিনি। জবাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এয়ার ইন্ডিয়ার সেই পাইলট।
এরপর ভারতীয় পাইলট বলেন যে তিনি ইরানের এয়ারস্পেসের জন্য রাডার পাচ্ছেন না, তখন নিজের থেকেই পাক এটিসি ভারতীয় জেটগুলির লোকেশন তেহরানকে জানায়। এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৭৭ ও বোয়িং ৭৮৭ করে অনেক বিদেশীদের ভারত থেকে নিয়ে যান পাইলটরা।
তবে শুধু পাকিস্তান নয়, ইরান এয়ারস্পেসেও বিশেষ সুবিধা পেয়েছিলেন ত্রাণ বহনকারী দুই জেট। পাইলট বলেন যে তাঁর অভিজ্ঞতায় প্রথমবার প্রায় হাজার মাইল যাত্রার জন্য সরাসরি রুট দেয় ইরান। সাধারণত শুধু প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিমানের জন্যে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। ইরানেও তাদের এটিসি শুভেচ্ছাবার্তা দেয়। এরপর তুরস্কেও উষ্ণ অভ্যর্থনা পান তাঁরা।
আসা-যাওয়া ও ফ্র্যাঙ্কফার্টে থাকা সময় মিলিয়ে প্রায় কুড়ি ঘণ্টা বিশেষ সুরক্ষাপ্রদানকারী স্যুট পরে থাকতে হয়েছিল বিমানকর্মীদের। যাতে কোনও ভাবেই করোনা না ছড়ায়. তার জন্যে এখন চোদ্দো দিনের কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাঁরা। কিন্তু বারবার মনে ভেসে আসছে পাক এটিসির দেওয়া সেই বিশেষ শুভেচ্ছাবার্তা।