এক সপ্তাহও কাটেনি, দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আফতাব হাসান খানকে তলব করেছিল ভারত। সেই রেশের মধ্যেই পড়শি দেশের কূটনীতিবিদকে আবারও ডাকা হল। কড়া ভাষায় জানানো হল, পাকিস্তান যেন সন্ত্রাসে মদত দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নাগরোটার বান টোলপ্লাজার কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে চার জঙ্গিকে খতম করা হয়। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ, গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক (আরডিএক্স) থেকে স্পষ্ট যে উপত্যকায় বড়সড় হামলা চালানোর ছক ছিল। জঙ্গিদের থেকে ১১ টি একে-সিরিজের রাইফেল, ৩০ টি চিনা গ্রেনেড, ১৬ টি একে ধরনের গোলাবারুদ এবং ২০ কিলোগ্রাম আরডিএক্স উদ্ধার করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সীমান্তের ওপার থেকে যে মদত জোগানো হয়েছিল, তা একেবারে স্পষ্ট। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া একটি জিপিএস এবং চারটি মোবাইল থেকে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে জইশের অপারেশনাল কমান্ডার মুফতি রউফ আসঘার এবং কারি জারারের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ ছিল। যে আসঘার হচ্ছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ছোটো ভাই এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্ধারিত জঙ্গি।
সেই ঘটনার পরই ভারতে দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক। সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য গত ১৪ নভেম্বরও তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তাতেও যে পাকিস্তান ছিঁটেফোটা শুধরোয়নি, তাও আবার স্পষ্ট হয়েছে। শনিবার ভারতের তরফে কড়া ভাষায় বলা হয়, ‘নিজেদের ভূখণ্ডের জঙ্গি এবং সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করার যে নীতি আছে পাকিস্তানের, তা থেকে যেন বিরত থাকে তারা এবং অন্য দেশে হামলা চালানোর জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলির যে পরিকাঠামো আছে, তা যেন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।’
আফতাবকে স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতে দৃঢ় এবং কঠোরভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত।’ অর্থাৎ স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, বড়সড় পদক্ষেপ করতেও পিছপা হবে না ভারত।