কোনও আশ্বাসেই চিঁড়ে ভেজেনি। নিজেদের অবস্থানে অটল রয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। নাকের ডগায় লাগাতার বিক্ষোভের মুখে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দাবি করলেন, তাঁর সরকার যখন ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ করেছে, তখন কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার গুজরাতে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে কৃষি আইনে পক্ষে সওয়াল করেন। বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে যে সংস্কারগুলি হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে সেগুলির দাবি জানিয়ে আসছিল বিরোধী দলগুলি-সহ কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের কল্যাণে সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত সরকার। আমরা কৃষকদের আশ্বস্ত করতে থাকব এবং তাঁদের উদ্বেগ দূর করব।’
আগেও একাধিকবার কৃষি আইনের স্বপক্ষে মুখ খুলেছেন মোদী। আসরে নামিয়েছেন তাঁর সরকারের দুই শীর্ষ মন্ত্রীকে। তাতেও অবশ্য কৃষকদের ক্ষোভের মাত্রা কমেনি। বরং মঙ্গলবার সেই আন্দোলনে ২০ দিনে পড়েছে। আর তাতেই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মোদী। বিরোধীরা কৃষকদের ভুল পথে চালিত করছেন বলেও অভিযোগ করেন। নাম না করে কংগ্রেসকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘আজ যাঁরা বিরোধীদের আসনে বসে আছেন এবং কৃষকদের বিভ্রান্তদের করছেন, তাঁরা নিজেদের সরকারের আমলে এই কৃষি সংস্কারের পক্ষে ছিলেন। নিজের সরকারের সময় তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। আজ দেশ যখন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে, তখন সেই লোকরাই কৃষকদের বিভ্রান্ত করছেন।’
দিল্লির লাগোয়া সিংঘু, টিকরি, গাজিয়াবাদ সীমান্তে জমায়েত করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষক। মোদীর অবশ্য দাবি, দিল্লির আশপাশের সেই কৃষকদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাঁর কথায়, ‘দিল্লির কাছে জড়ো হওয়া কৃষকদের বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। কৃষকদের বলা হচ্ছে যে নয়া কৃষি আইন প্রণয়ন হলে তাঁদের জমি অন্য কেউ দখল করে নেবে। আমি আপনাদের থেকে জানতে চাই, আপনি দুধ বিক্রি করছেন বলে কি আপনাদের থেকে গবাদি পশু নিয়ে নিচ্ছেন দুগ্ধশিল্পের মালিকরা?’