গালওয়ান সংঘর্ষের সময় কেন বিনা অস্ত্রে ভারতীয় জওয়ানদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পালটা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। জানালেন, সংঘর্ষের দিন অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন জওয়ানরা।
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ রাহুলের একটি টুইট রিটুইট করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আগে সঠিক তথ্যটা জানুন। সব জওয়ান অস্ত্র নিয়ে যান, বিশেষত পোস্ট থেকে বেরোনোর সময়। গত ১৫ জুন গালওয়ানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও সেটাই করেছিলেন। সংঘাতের সময় অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রথা দীর্ঘদিনের (১৯৯৬ এবং ২০০৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী)।'
তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাহুল বলেন, চিন ভারতের নিরস্ত্র জওয়ানদের হত্যা করে জঘন্য অপরাধ করেছে। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, এই বীর (জওয়ানদের) অস্ত্র ছাড়া বিপদের মুখে কারা ঠেলে দিয়েছিলেন? কে পাঠিয়েছিলেন? কে দায়ী?'
পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত বিতর্ক নিয়ে প্রথম থেকেই একের পর এক প্রশ্ন করে যাচ্ছেন রাহুল। বিজেপি সরকারকে রীতিমতো ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছেন। সঙ্গ দিচ্ছেন কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী নেতারাও। বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নের চাপে পড়ে সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়াল বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। তা সত্ত্বেও অবশ্য আক্রমণ জারি রেখেছেন রাহুল।
এরইমধ্য়ে গালওয়ানে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বুধবার টুইট করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু তাতে কোথাও গালওয়ান বা চিন উল্লেখ করেননি। সেজন্য রাজনাথকে একহাত নেন রাহুল। একটি টুইটবার্তায় বলেন, ‘যদি এটা সত্যিই এতটাই বেদনাদায়ক হয়, (তাহলে) ১) আপনার টুইটে চিনের নাম না করে ভারতীয় সেনার অপমান করছেন কেন? ২) শোকপ্রকাশের জন্য কেন দু'দিন লাগল? ৩) যখন জওয়ানরা শহিদ হচ্ছেন, তখন সভায় ভাষণ দিচ্ছেন কেন? ৪) কেন লুকিয়ে যাচ্ছেন এবং সংবাদমাধ্যমের অন্তরঙ্গ বন্ধুদের দিয়ে সেনার উপর দোষ চাপাচ্ছেন? ৫) কেন পেড-মিডিয়াকে দিয়ে ভারত সরকারের পরিবর্তে সেনাকে দোষারোপ করাচ্ছেন?’