ভারতে করোনা সংক্রমণের তিনটি ভিন্ন ধারার মিলন হয়নি, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রশাসনিক তৎপরতার ফলে সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার হার আগের তুলনায় কমেছে।
ICMR-এর মহামারী ও সংক্রামিত রোগ বিভাগের প্রধান রামন গঙ্গাখেড়কর জানিয়েছেন, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-সহ দেশের গবেষণাগারগুলিতে Sars-CoV-2 ভাইরাসের জেনোম সিকুয়েন্সিং প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষণের জেরে এ পর্যন্ত প্যাথোজেনটির তিনটি ভিন্ন গোত্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক নমুনায় যে ভাইরাস সিকুয়েন্স পাওয়া গিয়েছিল, তাতে উহানে পাওয়া ভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখা গিয়েছে। দ্বিতীয় সিকুয়েন্সটি উহানের থেকে আলাদা হলেও ইরানে পাওয়া ভাইরাস গোত্রের সঙ্গে মিল রয়েছে। তৃতীয় যে ভাইরাস গোত্রটি পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেনে সংক্রামিত রোগীদের নমুনায় পাওয়া ভাইরাস গোত্রের।’
তাঁর দাবি, ‘এই ভাইরাস দ্রুত মিউটেট করে না। এখন প্রশ্ন হল, কোন কোন গোত্রগুলি এর মধ্যে প্রাধান্য বিস্তার করবে? এ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা মুশকিল।’
ঘটনা হল, ভাইরাসের গোত্র এলাকা বিশেষে কোথায় কোথায় প্রাধান্য বিস্তার করছে, তার উপরেই নির্ভর করে তার চরিত্র বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় কিট নির্ধারণ করা এবং সম্ভাব্য ওষুধ আবিষ্কারের লক্ষ্যে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া।
ভারতে বর্তমানে এই বিষয়ে একাধিক গবেষণা চলেছে। তার ফলাফল কিছু দিনের মধ্যেই জানতে পারবে ICMR।