লকডাউনের সময় বিদেশ থেকে যে বিমানগুলি ভারতে আসার কথা ছিল, সেগুলির ক্ষেত্রে 'ক্রেডিট শেল স্কিম' চালু করা হবে না বলে জানিয়েছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। একদিন পরেই অর্থাৎ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানালেন, বিদেশ থেকে দেশে ফেরার জন্য যে বিমানের টিকিটগুলি ভারতে কাটা হয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া যেতে পারে।
প্রবাসী লিগাল সেলের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার সওয়াল-জবাব শেষের দিন এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউন পর্বে যাতায়াতের জন্য যে যাত্রীরা আগেভাগেই টিকিট কেটেছিলেন, তাঁরা টাকা ফেরতের আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য সেই ব্যবস্থা করা হত। সেই বিষয়টি নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত।
আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে সওয়াল করেন, লকডাউনের ঢের আগেই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত ভারতীয়রা দেশে ফেরার এবং দেশ থেকে যাওয়ার টিকিট কেটে রেখেছিলেন। তিনি বলেন, 'সরকারের নয়া হলফনামা অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসে টিকিট কাটা হলেও আমরা শুধুমাত্র একদিকের যাত্রার পুরো টাকা পাব।'
বৃহস্পতিবার ভারতের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, বিদেশের কোনও জায়গা থেকে যে বিমানগুলি ছাড়ে, সেগুলি আন্তর্জাতিক বিমানগুলি ডিজিসিএয়ের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায় আসে না। উড়ান সংস্থা ভারতীয় হোক বা না হোক, যে দেশ থেকে সেই বিমানগুলি উড়বে, সেই দেশই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দ্বারা নির্ধারিত হবে। আর সেই উড়ানগুলির টিকিটের টাকা ফেরত বা 'ক্রেডিট শেল স্কিম'-এর বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট দেশের আইন মোতাবেক নির্ধারিত হবে।
অপর এক যাত্রীর আইনজীবী পুনিত জৈন দাবি করেন, দিল্লি ও নিউ ইয়র্কের মধ্যে দু'দিকেই টিকিট কাটা ছিল তাঁর মক্কেলের। তিনি বলেন, ‘ডিজিসিএয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আমি টাকা ফেরতের জন্য কীভাবে আমেরিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করব।’
সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের আইনি ক্ষেত্রের মধ্যে টিকিট বুক করা হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই টাকা ফেরতে পাওয়ার দাবিদার হবেন।’ সেই বিষয়টি নথিভুক্ত করে বিচারপতি অশোক ভূষণ, আরএস রেড্ডি এবং এমআর শাহের বেঞ্চের।