সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিতর্কের ধারকাছ দিয়েও ঘেঁষলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং সন্তর্পণে বিষয়টি এড়িয়ে নয়া আইনকে কার্যত ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বললেন তিনি।
আরও পড়ুন : কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে বাণিজ্য চুক্তি, ট্রাম্পের সামনে আশ্বাস মোদীর
সংসদের উভয়কক্ষে পাশের থেকে সিএএ নিয়ে বিতর্ক চলছে। সিএএ বিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসা ছড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। ট্রাম্প ভারতে রাখার পর থেকে সিএএ পন্থী ও বিরোধীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। বাধে খণ্ডযুদ্ধ। মৃত্যুও হয়েছে ন'জনের। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।
ট্রাম্পের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনের লাইভ ব্লগ
তবে ট্রাম্প কোনও বিতর্কের রাস্তায় হাঁটলেন না। বরং এমন কোনও মন্তব্য করলেন না যা 'বন্ধু' নরেন্দ্র মোদীর অস্বস্তি বাড়াবে। সিএএ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই ট্রাম্প বলেন, 'সিএএ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। এটা ভারতের উপর নির্ভর করছে। আমার আশা, নিজের দেশের মানুষের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।'
আরও পড়ুন : দিল্লির 'হ্যাপিনেস ক্লাসে' পড়ুয়াদের সঙ্গে মেতে উঠলেন মেলানিয়া ট্রাম্প
রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন। যেখানে প্রবাসী ভারতীদয়দের ভোট একটা বড় ফ্যাক্টর। গত বছর ট্রাম্পের হয়ে ভোট দেওয়ার ভিত্তিটা তৈরি করেছিলেন মোদী। ট্রাম্প ভালোভাবেই জানেন, সিএএ নিয়ে ইতিবাচক না নেতিবাচক, যাই মন্তব্য করেন না কেন তা নিয়ে বিতর্ক গড়াবে। তার জেরে ধাক্কা খেতে পারে তাঁর প্রবাসীয় ভারতীয় ভোটব্যাঙ্ক। তাই ভোটের আগে অন্য দেশের আইনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন ট্রাম্প।