প্রায় ১৯ লাখ ভোটার। সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের মন পেতে কোনও কসুর ছাড়ছেন না কেউই। কিন্তু নির্বাচনের মুখেই আচমকাই আত্মঘাতী গোল করে বসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর মওকা বুঝে আসরে নেমে পড়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষ জো বাইডেন।
ভারতকে ‘নোংরা’ বলার জন্য ট্রাম্পকে একহাত নেন ডেমোক্র্যাটিকের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারতকে নোংরা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এরকমভাবে বন্ধুদের বিষয়ে কেউ কথা বলে না। এরকমভাবে কেউ জলবায়ু পরিবর্তনেের মতো বিশ্বব্যাপী সমস্যার সমাধান করতে পারে না। কমলা হ্যারিস এবং আমি আমাদের সম্পর্কের মর্যাদা দিই এবং আমাদের বিদেশ নীতির কেন্দ্রে আবারও মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে আনব।’
আসন্ন নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে গত বৃহস্পতিবার শেষ বিতর্কসভায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিজের মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করেন ট্রাম্প। প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি হাতড়াতে থাকেন। অভিযোগ করেন, সেই চুক্তিতে আদতে ভারত, চিন এবং রাশিয়ার প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে। তারপরই বিপত্তি ঘটান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চিনের দিকে দেখুন, কী নোংরা। রাশিয়ার দিকে তাকান। ভারতের দিকে দেখুন। কী মারাত্মক নোংরা। বায়ু কী নোংরা।’
মার্কিন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞ, ‘হাউডি মোদী’, ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে ট্রাম্পের যে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছিল, ভোটের কয়েকদিন আগে নিজেই সেটা নষ্ট করেছেন। স্বভাবতই সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন বাইডেন।
এমনিতেই দুটি প্রাক-ভোট সমীক্ষাতেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকানদের মধ্যে বাইডেনের জনপ্রিয়তা ঢের বেশি প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম সমীক্ষা অনুযায়ী, ৬৬ শতাংশ ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাইডেনকে ভোট দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ২৮ শতাংশ ছিলেন ট্রাম্পের পক্ষে। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি বড় মাপের সমীক্ষায় স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা হু হু করে পড়েছে। তাতে ৭২ শতাংশ মানুষ বাইডেনের পক্ষে ছিলেন। মাত্র ২২ শতাংশের পছন্দের নাম ছিলেন ট্রাম্প।