দিল্লি পুলিশকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করল দিল্লির স্থানীয় আদালত। চন্দ্রশেখর আজাদের জামিনের আবেদনের শুনানির সময় পুলিশের সমালোচনা করেন বিচারপতি।
আজাদের জামিনের আবেদনের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের উকিল বলেন যে তাঁকে ছাড়া উচিত নয়, কারণ ভিম সেনার নেতার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকেই হিংসা ছড়িয়েছিল। এতেই আপত্তি জানান সেশনস কোর্টের বিচারপতি কামিনী লাউ। তিনি বলেন যে আজাদের পোস্টে কোনও হিংসার বার্তা ছিল না।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার মধ্যে দোষের কিছু নেই বলে জানান বিচারপতি। পাবলিক প্রসিকিউটারকে তিনি জিজ্ঞেস করেন যে আপনি কি সংবিধান পড়েছেন?
এরপর বিচারপতি বলেন যে সরকারপক্ষ এমন করছে যেন জামা মসজিদ পাকিস্তানে। তবে পাকিস্তানে হলেও, সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করলে কোনও দোষ হত না, বলে জানান বিচারপতি। জবাবে কৌসুলী বলেন যে প্রতিবাদ করার জন্য আগে থেকে অনুমতি নিতে হয়। তখন সুপ্রিম কোর্টের হালের রায়ের কথা মনে করিয়ে দেন বিচারপতি। তিনি বলেন যে কথায় কথায় ১৪৪ ধারা জারি করা যাবে না বলে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
বিচারপতি বলেন যে তিনি অনেককে দেখেছেন যারা সংসদের বাইরে প্রতিবাদ করার পর মন্ত্রী ও নেতা হয়েছেন। আজাদকে নবীন রাজনীতিবিদ বলে বর্ণনা করে বিচারপতি বলেন যে ভিম সেনার নেতার প্রতিবাদ করার অধিকার আছে। ধর্মীয় স্থানের সামনে প্রতিবাদ করা যাবে না, কোন আইনে লেখা আছে, জিজ্ঞেস করেন বিচারপতি।
গত মাসের ২১ তারিখ জামা মসজিদের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদকে। ১৮ তারিখ অবধি জেল হাজতে থাকবেন তিনি। এরমধ্যে তাঁকে সঠিক অসুধ দেওয়া হচ্ছে না, সেই নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। এবার কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলল আদালত।