সকাল-সকাল ৯৩ তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। তারপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে লালকৃষ্ণ আডবানির বাসভবনে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পাশাপাশি হাত ধরে কেকও কাটিয়ে দিলেন।
রবিবার সকালে হিন্দিতে একটি টুইটবার্তায় মোদী বলেন, 'শ্রী লালকৃষ্ণ আডবানিজিকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। যিনি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং জনগণের কাছে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশবাসীর পাশাপাশি লাখ লাখ দলীয় কর্মীর কাছে উনি সত্যিকারের অনুপ্রেরণা। তাঁর দীর্ঘজীবন এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করছি।'
আডবানিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান শাহও। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে শ্রদ্ধেয় আডবানিজি শুধু দেশের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেননি, বিজেপির জাতীয়তাবাদী মতদার্শের বিস্তারে তিনিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পান করেছেন। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘজীবনের কামনা করছি।’
বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, প্রায় ৩০ মিনিট আডবানির বাসভবনে ছিলেন মোদী-শাহরা। বর্ষীয়ান নেতার সঙ্গে চা খান। আডবানির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মোদী।হাত ধরে আডবানিকে বাড়ি থেকে বের করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশে দাঁড়িয়ে হাত ধরে কেক কাটতে সাহায্য করেন। আবার নিজে হাতে মোদীকে সেই কেক খাইয়ে দেন আডবানি। যিনি মোদীর আমলে বিজেপিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়েছেন এবং দলের মাগদর্শক মণ্ডলীতে ঠাঁই হয়েছে। এমনকী রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাক হয়নি।
পরে আডবানির বাসভবনের যাওয়ার ছবিও টুইট করেন মোদী। সঙ্গে মোদী লেখেন, 'জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে আডবানিজির বাড়ি গিয়েছিলাম। তাঁর সঙ্গে সময় কাটানো অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমার মতো কার্যকর্তার জন্য আডবানিজির সমর্থন এবং পথ প্রদর্শন সর্বদা অমূল্য। দেশের উন্নতিতে তাঁর অবদান অপরিসীম।'